ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দেশের রপ্তানি আয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনীতি এবং রপ্তানি খাতের জন্য এক ইতিবাচক সংকেত। বছরের প্রথম ছয় মাসে মোট রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ, এবং ডিসেম্বরে একক মাসের হিসাবেও রপ্তানি বেড়েছে ১৮ শতাংশ।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪৬৩ কোটি ডলার, যা দেশের মুদ্রায় প্রায় ৫৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার সমান। প্রথম ছয় মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এই অর্জনের মূল কারণ হচ্ছে, রপ্তানি খাতের বিভিন্ন পণ্যের ওপর আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি এবং দেশের উৎপাদন সক্ষমতা শক্তিশালী হওয়া।
বিশেষত তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে ১৮%, যা প্রায় ২২৩ কোটি ডলার বা ২৭ হাজার কোটি টাকার বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং শ্রম অশান্তির মধ্যেও বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের উৎপাদন ও রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে, এবং এই খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, চিংড়ি, হিমায়িত মাছ, কৃষিপণ্য, ওষুধ, চামড়া, চামড়াপণ্য এবং পাটপণ্যের রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। চিংড়ির রপ্তানি বেড়েছে ১৯%, কৃষিপণ্যের রপ্তানি ১৪%, ওষুধের রপ্তানি ৮%, চামড়া ও চামড়াপণ্যের রপ্তানি ২৪%, এবং পাটপণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ১%।
রপ্তানিকারকরা আশা করছেন, বিশেষত তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে, নতুন বছরের শুরুতে আরও অধিক আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি হবে, এবং রপ্তানি আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
এম.কে
০৩ জানুয়ারি ২০২৫