গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের উদ্যোগে জাতিসংঘে তিন দিনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। সোমবার শুরু হওয়া এই সম্মেলনে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র স্বীকৃতির প্রশ্নকে সামনে রেখে কূটনৈতিক সমাধানের নতুন পথ খোঁজা হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরেই ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে প্যালেস্টাইন সরকারকে স্বীকৃতি দেবে। তিনি বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত দুই রাষ্ট্র সমাধানকে কার্যকর করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল বারো জানান, ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ প্যালেস্টাইন স্বীকৃতির বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ জানিয়েছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুজালেম রাজধানী করে একটি স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তির চাবিকাঠি।
যুক্তরাজ্য এখনও প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে লেবার পার্টির এমপিদের চাপ এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার জরুরি বৈঠক ডাকছেন। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, প্যালেস্টাইন স্বীকৃতি দেওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। ২২০ জনেরও বেশি এমপি ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্মেলনের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, প্যালেস্টাইন স্বীকৃতি সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করবে। ইসরায়েলের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত সম্মেলনটিকে বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন। একই অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এই সম্মেলন “অপ্রয়োজনীয় ও সময়োপযোগী নয়”, বরং তারা প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মনোযোগী থাকবে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৯ জুলাই ২০২৫