লেবার সরকারের কল্যাণ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের হুইপ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এমপি ভিকি ফক্সক্রফ্ট। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভাতা কাটছাঁটের পক্ষে তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
লিউইশ্যাম নর্থের এই এমপি নির্বাচনের আগে ছায়া প্রতিবন্ধী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার যে ধরনের পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, তার সাথে তিনি একমত নন এবং হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ফক্সক্রফ্ট উল্লেখ করেন, কল্যাণ ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন হলেও তার অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে প্রতিবন্ধী মানুষের দুর্দশা অনেক গভীর। তিনি বলেন, পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের সময় অনেকেই দারিদ্র্যে ডুবে গিয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত ভাতা হারানোর আতঙ্কে দিন কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক চাপে কল্যাণ ব্যয় কমাতে হবে, আমি সেটা বুঝি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, এর সমাধান হওয়া উচিত প্রতিবন্ধী মানুষকে কাজের সুযোগ দিয়ে। ভাতা কাটছাঁট সমাধান নয়।”
ফক্সক্রফ্ট জানান, তিনি চেষ্টা করেছিলেন সরকারের ভেতর থেকে এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ফলে, নিজের বিবেক ও দায়িত্ববোধ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস সেক্রেটারি লিজ কেনডাল প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয়ের লক্ষ্যে নতুন কল্যাণ বিল পেশ করেছেন। এই বিলে বলা হয়েছে, অনেক প্রতিবন্ধী পিআইপি ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন যদি তাদের সমস্যা নির্দিষ্ট মানদণ্ডে না পড়ে।
বিলে উল্লেখ আছে, রান্না করতে না পারা বা শরীরের অর্ধেক ধোয়ার সক্ষমতা না থাকলেও, আলাদা সীমাবদ্ধতা না থাকলে কেউ পিআইপি পাবেন না। এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৯,৫০,০০০ জন মানুষ ভাতা হারাবেন।
সরকার বলেছে, যেসব মানুষ এই ভাতা হারাবেন তারা ১৩ সপ্তাহ অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা পাবেন। আর যাদের মারাত্মক শারীরিক সমস্যা আছে তাদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে না।
এদিকে, অন্তত ৪২ জন এমপি প্রকাশ্যে বিলের বিরোধিতা করেছেন এবং আরও ১৭০ জন হুইপদের কাছে গোপনে আপত্তি জানিয়েছেন। ১ জুলাই এই বিলের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২০ জুন ২০২৫