রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের নির্বাসন দেওয়ার প্রীতি প্যাটেলের পরিকল্পনাটি প্রথম আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আইনজীবীদের একটি দাতব্য সংস্থা এ পরিকল্পনার নথি প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কারণ নীতিটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
হোম অফিসে একটি প্রি-অ্যাকশন লেটারে, যা বিচারিক পর্যালোচনা দাবির দিকে পরিচালিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, সলিসিটর লে ডে বলেছেন, নীতিটির বৈধতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে বলে মনে করে দাতব্য সংস্থা ফ্রিডম ফ্রম টর্চার।
এর রূপরেখা, ঝুঁকি মূল্যায়ন, যুক্তরাজ্য এবং রুয়ান্ডার সরকার দ্বারা স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকসহ এই নীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
প্যাটেল দ্বারা স্বাক্ষরিত রুয়ান্ডা চুক্তির অধীনে, চ্যানেল জুড়ে ছোট নৌকায় আগতদের রুয়ান্ডায় ওয়ানওয়ে টিকিট দিয়ে পাঠানো হবে। পরিকল্পনাটিকে শত শত মানুষকে পাচার থেকে বাঁচানোর উপায় হিসাবে প্রশংসা করেছেন বরিস জনসন।
একটি “অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং একীকরণ তহবিলের” অংশ হিসাবে রুয়ান্ডাকে প্রাথমিক ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্রিটেন। এছাড়া পরিকল্পনার অপারেশনাল খরচের জন্যও অর্থ প্রদান করবে ইউকে। তবে হোম অফিসের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে দাতব্যসংস্থা ডিটেনশন অ্যাকশন, কেয়ার ফোর ক্যালাইস এবং সেইসাথে পিসিএস ইউনিয়ন দ্বারা আরেকটি আইনি চ্যালেঞ্জ পৃথকভাবে চালু করা হয়েছে।
২৮ এপ্রিল ২০২২
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান