প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হক। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তাকে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বাস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি উল্লেখ করে রূপা হককে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, তখন একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং একজন ভুয়া স্পিকার ছিল। পুরো দেশ এখন তাদের কণ্ঠস্বর ফিরে পেয়েছে; যাদের কণ্ঠ জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন রূপা হক। তিনি বলেন, এ বাংলাদেশ দেখে আমি সত্যিই উৎসাহিত হয়েছি। অধ্যাপক ইউনূস রূপা হককে বলেন, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের জন্য দুটি সম্ভাব্য সময়সীমা রয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মাঝামাঝি। জনগণ কতটা সংস্কার চায় তার ওপর নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে।
আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রূপা হক। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের দমন-পীড়নের কারণ কী ছিল, সেটি তাকে ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক ইউনূস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় দায়িত্ব পালন করা যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান।
এর আগে, বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিআইডিএ চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদের সাথে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্যের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল, যাদের সঙ্গে ছিলেন রূপা হক।
ইউকেবিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে রয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউকেবিসিসিআই চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ ওবিই এবং ইউকেবিসিসিআই সভাপতি এম জি মওলা মিয়া। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও নারীদের দেশে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যাপক সংস্কার করেছে।
এম.কে
০৪ জানুয়ারি ২০২৫