দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশে পুরোনো শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন থেকে ২০২১ সালের আগের শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার (১৯ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন বিভাগ) লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশে বলা হয়, সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআই–এর প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সরকার নিম্নোক্ত শপথবাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে: ‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বরে স্কুল–কলেজ, মাদ্রাসায় শপথ পাঠ করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয় সরকার।
ওই শপথ ছিল: ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
এম.কে
২১ আগস্ট ২০২৪