প্রিন্স হ্যারি দাবি করেছেন তিনি গাঁজা এবং সাইকেডেলিক্সকে তার জীবনের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেছেন।
থেরাপিস্ট ও ট্রমা এক্সপার্ট ডাঃ গ্যাবর মেটকে প্রিন্স জানান, তিনি তার অতীতের ট্রমা মোকাবেলায় জন্য গাঁজা এবং আয়াহুয়াস্কা দিয়ে- একটি সাইকোঅ্যাকটিভ পানীয় – ব্যবহার শুরু করেছিলেন কয়েক বছর আগে থেকে। প্রিন্স হ্যারি ডাঃ গ্যাবর মেটকে বলেন অতীতে দুঃখ ভুলতে তিনি মাদকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলেন। তিনি জানান ২০১৫ সালে নটিংহ্যাম কলেজে থাকাকালীন সময় হতেই তিনি গাঁজা সেবন শুরু করেন।
বিদেশীরা যখন মাদকের সাথে জড়িয়ে যায় তখন মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা এই বিষয়ে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য যে অনেক বছর হতেই প্রিন্স হ্যারি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
সাংবাদিক পিয়ার্স মরগানের মতে, সাসেক্সের ডিউক মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে তার ড্রাগের ব্যবহার স্বীকার করে তার অবস্থানকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন। একজন বিদেশী নাগরিক হিসাবে আমেরিকান অভিবাসন নীতি এইক্ষেত্রে অনেক কঠোর।
প্রিন্স হ্যারি একটি টকশোতে এসে নিজের অতীত জীবন নিয়ে অনেক খোলামেলা আলোচনা করেছিলেন, তিনি মনে করেন বিশ্বের কাছে তার নিজের জীবন নিয়ে বলার অনেক কথা রয়েছে। তিনি তার মায়ের মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। অতীতে মানসিকভাবে অনেক খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন বলে প্রিন্স হ্যারি জানান।
গাঁজা জাতীয় মাদক বহন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করার সময় সম্পূর্ণ অবৈধ। চিকিৎসার জন্য গাঁজার ব্যবহার এফডিএ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়।
প্রিন্স হ্যারির মতো ব্রিটিশ নাগরিকদের মাদক বিতর্কের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান মনে করেন প্রিন্স হ্যারি আগামী মে মাসে কিং চার্লসের রাজ্যাভিষেকের জন্য যুক্তরাজ্যে আসা উচিত নয় কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাওয়ার সময় তিনি আমেরিকান অভিবাসন কর্মকর্তাদের দ্বারা নাজেহাল হতে পারেন।
এম.কে
০৯ মার্চ ২০২৩