ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে আজ শুক্রবার সংস্থাটির সাধারণ পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ভোটে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটি বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের জন্য ফিলিস্তিনকে সমর্থন দিল সাধারণ পরিষদ।
বিবিসি জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এবার বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ পরিষদ। কারণ কোনো দেশকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধু সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদ নিতে পারে।
সাধারণ পরিষদের ভোটে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মাত্র ৯টি দেশ। ভোটদানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।
ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে কোনো প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, যুক্তরাষ্ট্র এতে ভেটো দেবে। এর আগে গত এপ্রিলেও জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্য হওয়ার প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে আটকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার সাধারণ পরিষদে ভোটের আগে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, স্বাধীনতা চাই। এই ভোট ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের পক্ষে একটি ভোট, এটি কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। এটি শান্তির জন্য বিনিয়োগ।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বৃহস্পতিবার একটি স্প্যানিশ সম্প্রচার মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আগামী ২১ মে স্পেন এমন স্বীকৃতি দেবে। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া এবং মাল্টাও একই পথে হাঁটবে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ইস্যুটি কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাথাব্যথার কারণ। ১৯৮৮ সালে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিল।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় না। ইসরায়েলের বর্তমান সরকার পশ্চিম তীর এবং গাজায় একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো—এই ধরনের রাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১১ মে ২০২৪