2.7 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

ফেব্রুয়ারিতেই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান!

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে কবে দেশে ফিরছেন তা নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বেকসুর খালাস পাওয়ার পর বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের মধ্যে এ নিয়ে জানার আগ্রহ বেড়েছে।

এদিকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘লিডার আসছে’, এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। আসলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঠিক কবে ফিরবেন, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কোনো দিনক্ষণ পাওয়া যায়নি।

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি মামলায় সাজা হয়, তার মধ্যে একটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দ্রুততম সময়ে এসব মামলায় খালাস পেলে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে বিএনপিতে আলোচনা রয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার তারিখ এখনো সুনির্দিষ্ট হয়নি। তার দেশে ফেরার ইস্যুটির একদিকে যেমন আইনি দিক রয়েছে, অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক বিষয় বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কখন বিদেশে যেতে পারেন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কখন দেশে ফিরতে পারেন-এ ব্যাপারে লন্ডন সফররত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে ফিরলে কিছুটা স্পষ্ট হতে পারে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিবের। তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ প্রশস্ত হচ্ছে জানিয়ে তার আইনজীবীরা বলছেন, সাজা হওয়া চারটি মামলাসহ ৩৯টির মতো মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এ বিষয়ে শনিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দল যখন মনে করবে তখন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এছাড়া উনার (তারেক রহমান) আরো কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, সেগুলো শেষ করে দেশে যাবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, নাশকতা, গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী ৮০-৮২টির মতো মামলা করা হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৭টি মামলা হয়। তারেক রহমানের মামলাগুলোর মধ্যে ৬২টির মতো মানহানির মামলা বলে জানান তার আইনজীবীরা।

সেনা সমর্থিত ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৩ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পেয়ে ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্য যান। তখন থেকেই তিনি লন্ডনে রয়েছেন। লন্ডনে থাকাকালে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে তার মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ‘সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান’ তারেক রহমান। সেখানে থেকেই তিনি দল পরিচালনা করছেন।

বিএনপির নেতারা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনের ক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমানের ইতিবাচক ও পরিবর্তনের রাজনীতি জাতির সামনে নতুনভাবে আশার সঞ্চার করছে। মানুষের মন জয় করতে নিচ্ছেন একের পর এক যুগান্তকারী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত। তার (তারেক রহমান) দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবনা দেশের জনগণও গ্রহণ করেছে। তিনিই আগামীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক।

এম.কে
১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

আন্দোলনকারীদের দখলে গণভবন

সেনাপ্রধানের সাথে দেখা করলেন আলোচিত ক্যাপ্টেন আশিক

নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৭৩ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য