বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার মধ্যেই রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ রক্ষায় একটি সনদ মেনে নিতে ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের আলটিমেটাম দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। খবর বিবিসির।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) তিনি ফ্রান্স কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথ (সিএফসিএম)-কে এই সনদ গ্রহণের জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেন।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের ‘চরমপন্থি’ ইসলামের বিস্তৃতি ঠেকাতে তিনি এমন কড়া অবস্থান নিয়েছেন।
বুধবার রাতে ম্যাক্রোঁ ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিয়ান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিএফসিএমের আটজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় মুসলিম নেতাদের প্রতি একটি সনদ উপস্থাপন করেন ম্যাক্রোঁ। যাতে ফ্রান্সের মুসলিমদের জন্য আচরণবিধি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ধর্মীয় অজুহাতে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া যাবে না, এমনটি করলে ঘরে (ধর্মীয়) শিক্ষার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে ও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
২. মুসলিম শিশুদের একটি নম্বর দিতে হবে, যা দ্বারা তাদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। অভিভাবকরা এ আইন অমান্য করলে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।
৩. ক্ষতির আশঙ্কা আছে এমন কারও ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় করা যাবে না।
সিএফসিএম এরইমধ্যে একটি জাতীয় ইমাম কাউন্সিল করবে বলে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছে। সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে এ কাউন্সিল কোনো মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেবে, যাকে পরবর্তীতে প্রত্যাহার করাও যাবে।
দেশটিতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করায় এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার এক মাস পর মুসলিম নাগরিকদের ওপর আচরণবিধি ঠিক করে দিলো ফ্রান্স।
ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ম্যাক্রোঁ কঠোর সমালোচনা ও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন চালু রাখার ঘোষণা বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তোলে।
২০ নভেম্বর ২০২০
এনএইচ