19.4 C
London
July 15, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ফ্রান্সে পুলিশের চোখের সামনে অভিবাসীদের নৌকা পারাপার, মোবাইলে ব্যস্ত নিরাপত্তা বাহিনী

ফ্রান্সের উপকূলবর্তী শহরগুলোতে যখন শত শত অভিবাসী যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন ফরাসি পুলিশের চাঞ্চল্যকর নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্ন তুলছে তাদের ভূমিকা নিয়ে। ক্যালে, ডানকার্ক এবং গ্রাভলিন্সসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নৌকায় চড়ার মুহূর্তেও নিরাপত্তা বাহিনী কোনো রকম বাধা না দিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।

এক্সপ্রেস পত্রিকার অনুসন্ধানে দেখা যায়, একাধিক অভিবাসী যখন সমুদ্র পাড়ি দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ১২টিরও বেশি পুলিশ ভ্যান অলসভাবে একটি হোটেলের বাইরে পার্ক করা ছিল। হোটেলটি ছিল “বি অ্যান্ড বি হোটেল”, যেখানে পুলিশ বাহিনী অবস্থান করে। দুপুরের সময়টিতে সেখানে এত বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি, অথচ সমুদ্রতীরবর্তী এলাকা ছিল ফাঁকা ও নজরদারিহীন।

ডানকার্কের কাছে শনিবার ভোরে মাত্র একটি পুলিশ প্যাট্রোল গাড়ি সৈকতের পাহারা দিচ্ছিল, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক অভিবাসী নৌকা ছাড়ে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা স্বীকার করেছেন, কোথা দিয়ে নৌকা ছাড়ে তা তারা জানেন, কিন্তু তবুও তারা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করেননি।

গ্রাভলিন্স সৈকতে একই দিনে একটি নৌকা পানিতে নামানো হয়, যেখানে ১২ জন যুবক ছিল। খালপথে নৌকাটি ঢুকলেও কোনও পুলিশের নৌকা দেখা যায়নি, এবং তারা নৌকাটিকে থামানোর জন্য কিছুই করেনি। প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত সেই নৌকা উপকূলে অপেক্ষা করলেও পুলিশ শুধু দূর থেকে তাকিয়ে ছিল।

এ সময় আড়ালে আরও শতাধিক অভিবাসী অপেক্ষা করছিল। অভিবাসীদের কিছু অংশ দৌড়ে নৌকার দিকে এগোলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে বাধা দেয়। কিন্তু যারা নৌকায় উঠে গিয়েছিল, তারা পরে নৌকা ছেড়ে হেঁটে শহরের দিকে ফিরে যায়, এবং পুলিশ তাদের আটক করার চেষ্টা করেনি।

সেই সকালেই ছয়টি পৃথক নৌকায় মোট ৩১৭ অভিবাসী ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছে যায়। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩৫৩, এবং তার আগের দিন ছিল ৫৭৩ জন।

লুন-প্লাজ এবং ক্যালের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত অভিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেশিরভাগই জানে কখন ও কোথা থেকে নৌকা ছাড়বে। অনেকেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোন দিন সকালে তারা যাত্রা করবে, কিন্তু সেইসব ক্যাম্পের আশেপাশে পুলিশের কোনো কার্যকর উপস্থিতি দেখা যায়নি।

ফরাসি কর্তৃপক্ষ যেখানে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে এই ‘ডিঙ্গি ক্রাইসিস’ সমাধানে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, বাস্তবে সেখানে কার্যক্রম একেবারেই বিপরীত। সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের অবহেলা শুধু অভিবাসন সমস্যা নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও এক উদ্বেগজনক সংকেত হয়ে উঠছে।

সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস

এম.কে
১৫ জুলাই ২০২৫

আরো পড়ুন

সামান্য পরিমাণ অ্যালকোহলও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর

নিউজ ডেস্ক

ব্রেক্সিট ভুল ছিল বলা লোকের সংখ্যা বাড়ছেঃ জরিপ

যুক্তরাজ্যের মিউজিক রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ