চলতি মাসের শুরুতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফরাসি এনজিও এমএসএফ দাবি করেছে, তারা ফ্রান্স-ইটালি সীমান্তে বেআইনি পুশব্যাকের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এমএসএফকে দেয়া সাক্ষ্যে অভিবাসীরা জানিয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী থেকে শুরু করে পরিবারগুলোও এমন সব পুশব্যাকের ভুক্তভোগী।
ফ্রান্স-ইটালি সীমান্তের আলোচিত ভেন্টিমিগ্লিয়ায় পুশব্যাক অব্যাহত রয়েছে বলে জোর দাবি করেছে ফরাসি দাতব্য সংস্থা মেদসা সঁ ফ্রন্তিয়ের বা এমএসএফ।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানায়, “ফ্রাঙ্কো-ইটালীয় সীমান্তে অভিবাসীদের যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই সহিংসভাবে ফরাসি পুলিশ আবার ইটালির দিকে ফিরিয়ে দেয়।”
আফ্রিকার দেশ গিনি থেকে আসা এক ভুক্তভোগী এমএসএফকে জানান, তিনি তার পরিবারের সাথে ইটালি থেকে ফ্রান্সে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় পুলিশ তাদেরকে ফ্রান্সের মন্তো শহরে বাঁধা দেয়।
তিনি বলেন, “আমরা একটি কক্ষে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমার বোন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সে একজন ১০ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী।”
এনজিওটি ভেন্টিমিগ্লিয়ায় সক্রিয় তাদের মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে এমএসএফ-এর কাছে চিকিৎসা সেবা নেওয়া ৩২০ জন লোকের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও কাছাকাছি অভিবাসীরা দাবি করেছেন, পুলিশ তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে তারা ফ্রান্সে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তাদের মধ্যে, এক চতুর্থাংশ দাবি তারা একাধিকবার এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।
এম.কে
০৮ আগস্ট ২০২৩