‘ফ্রি ভিসা বলতে কিছু নেই। কোনো কোনো শ্রমিক ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়লে তারা বাংলাদেশি অন্য শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। মাঝে মধ্যে দূতাবাসকেন্দ্রিক কিছু চক্র গড়ে ওঠে। এদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।‘
বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে শ্রম উইংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দু’সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রোববার (২ নভেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম একথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় দেশের গণমাধ্যমগুলো।
প্রবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশের সোনার ছেলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন। বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তারা যেন ভালো আচরণ পান। প্রবাসীদের উন্নতমানের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দক্ষতার সঙ্গে শ্রমবাজার আরো সম্প্রসারণ করবেন।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি দেশের সরকার কাজ করবে এবং এক্ষেত্রে প্রথম সুযোগ যেন বাংলাদেশ সরকার নিতে পারে সেই লক্ষ্যে দূতাবাসগুলোকে কাজ করার নির্দেশনা দেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তিগুলোর একটি।
প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বেশকিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে মামলা করে সেদেশের আইন অনুযায়ী অনেককে দেশে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশে ফিরে আসার পর তারা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কেউ যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা না বাড়ায়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় ভালো এবং সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে। গত কয়েক মাসে করোনা পরিস্থিতিতেও প্রবাসী আয় বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমবাজার ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ অন্য দেশের তুলনায় ভালো করছে। সামনের দিনগুলিতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, যেসব প্রবাসী চাকরি হারিয়েছেন তাদের ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তহবিল গঠন করেছে। তাদের ঋণ দিচ্ছে এবং নতুন কাজে সম্পৃক্ত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রবাসীদের কল্যাণে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
০১ নভেম্বর ২০২০
এনএইচ