বরিশাল বিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ কবীর হোসেন পাটোয়ারীকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। অভিযোগ উঠেছে, তিনি কর্মস্থলে বদলি হলেই নতুন বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ১৭টি বিয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে, যা জনমনে ব্যাপক কৌতূহল ও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন ভিডিও ও পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, কর্মজীবনে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হলে কবীর হোসেন নতুন পরিবেশে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন এবং তা পরিণত হতো বিয়েতে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এত সংখ্যক বিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য শুধু অস্বাভাবিকই নয়, সামাজিকভাবেও কেলেঙ্কারির পর্যায়ে পড়েছে।
তবে অভিযোগ কতটুকু সত্য, কিংবা এসব বিয়ে আইনিভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না—তা এখনও স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে কবীর হোসেন পাটোয়ারীর পক্ষ থেকেও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বহুবিবাহ বাংলাদেশে সীমিতভাবে অনুমোদিত হলেও প্রতিটি বিয়ের জন্য আইনি প্রক্রিয়া মেনে অনুমতি নিতে হয়। নিয়ম ভঙ্গ করলে তা আইন লঙ্ঘন হিসেবেই গণ্য হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনাকে ঘিরে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বিষয়টিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ ও কৌতুক হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকে একে সামাজিক সংকট ও দায়িত্বশীলতার অভাব হিসেবে তুলে ধরছেন।
শেষ পর্যন্ত সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের দায়িত্ব তদন্ত সংস্থার হলেও, প্রশ্ন উঠছে—একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনে এতগুলো বিয়ের অভিযোগে জড়ালেন, আর সেটি আবার কর্মস্থল বদলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে?
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫