নিউজ ডেস্ক: এক আসামির সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় প্রাণ গেছে এক নিরপরাধের। বন্দুকযুদ্ধে নিহতের খবর গণমাধ্যমে দেখে আদালতে হাজির হয় আসল আসামি।
দুই বছর আগে মারধরের অভিযোগে মামলা হয় চট্টগ্রাম আদালতে। এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয় গত বছরের ১৫ অক্টোবর। চার্জশিটে বলা হয়, আসামি জয়নাল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আবেদন করা হয় অন্য আসামির বিচার শুরুর।
‘মৃত’ জয়নালকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। বন্দুকযুদ্ধে আসামির মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপরই কাহিনীর মোড় ঘুরে যায়। আদালতে হাজির আসামি জয়নাল। আবেদন করে জানান, মারা যাননি তিনি। তাহলে, প্রথম যে জয়নাল বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলেন তিনি কে?
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পিপি আবিদ হোসেন বলেন, জয়নাল ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকেন। সে বলছে, তিনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হননি। এবং তাকে এই মামলায় অন্তর্ভুক্তির জন্য সিএমএম আদালতে একটি দরখাস্ত প্রদান করেন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত জয়নাল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। বিষয়টি নজরে আনা হয় আদালতের। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, আগামী ধার্য তারিখে এ বিষয়ে তদন্তের আবেদন করবেন তারা।
অতিরিক্ত পিপি আবিদ হোসেন আরো বলেন, মো. জয়নাল যেহেতু জীবিত অবস্থায় আছে। এদিকে চার্জশিটে দেয়া বন্দুকযুদ্ধে সে মারা গেছে বলেও জানানো হচ্ছে। তাহলে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়া মানুষটি কে? এইসঙ্গে যে নিরপরাধ ব্যক্তিটি বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। তার রহস্যে উদঘাটন করা উচিত।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনার পর বিস্ময় প্রকাশ করেন উচ্চ আদালত।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
এনএইচটি