চলমান বন্যা ঝুঁকি নিয়ে ৪৪ এনজিওর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার
২৪ আগস্ট বিকেল ৪টায় উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল- বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্বাস্থ্য ও খাদ্য ঝুঁকি মোকাবিলায় সব পক্ষ মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করার রূপরেখা নিয়ে। উল্লেখ, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি কমে এসেছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এলাকাগুলোর ৬টি নদীর ৯টি স্টেশনের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ ভারতীয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ অববাহিকায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি। যাতে উজানের নদ-নদীর পানি কমেতে শুরু করেছে। এখন মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লাসহ চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি শুক্রবার ২৩ আগস্ট থেকে উন্নতি হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর কাছাকাছি উজানে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নদীগুলোর কাছের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
আরও বলা হয়েছে, ৬টি নদীর ৯টি স্টেশনে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেগুলো হলো অমরশীদ (কুশিয়ারা নদী) ১৪ সেন্টিমিটার, শেওলা (কুশিয়ারা) ১, শেরপুর-সিলেট (কুশিয়ারা) ৯, মারকুলী (কুশিয়ারা) ৪, মৌলভীবাজার (মনু) ৯১, বাল্লা (খোয়াই) ৪৪, কুমিল্লা (গোমতী) ৯৬। এ ছাড়া রামগড় (ফেনী) ও পরশুরাম (মুহুরী) যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে হবিগঞ্জ (খোয়াই), মনু রেলওয়ে ব্রিজ (মনু), দেবিদ্বার (গোমতী), নারায়ণহাট (হালদা) ও পাঁচপুকুরিয়া (হালদা) স্টেশনের পানি।
এম.কে
২৫ আগস্ট ২০২৪