মুম্বাই পুলিশের উপকমিশনার দীক্ষিত গেডাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শেহজাদ প্রায় প্রায় ছয় মাস আগে শহরে আসেন এবং ভুয়া নাম ও পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একটি হাউজকিপিং সংস্থায় কাজ করছিলেন।
ভারতের মুম্বাই শহরে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের উপর হামলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। অস্ত্রোপচারের পর তিনি বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
গতকাল রোববার পুলিশ জানায়, তারা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা আরও জানায়, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক এবং অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন।
তবে শেহজাদের আইনজীবী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তিনি জানান, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক নন।
পুলিশ জানিয়েছে যে মুম্বাইয়ের উপকণ্ঠে থানে জেলা থেকে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের উপকমিশনার দীক্ষিত গেডাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে শেহজাদ প্রায় প্রায় ছয় মাস আগে শহরে আসেন এবং ভুয়া নাম ও পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একটি হাউজকিপিং সংস্থায় কাজ করছিলেন।
পুলিশের সন্দেহ, শেহজাদ অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে প্রবেশ করেছিলেন। গতকাল রোববার মুম্বাইয়ের একটি আদালত শেহজাদকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
তবে তার আইনজীবী সন্দীপ শিখান সাংবাদিকদের বলেন, তার মক্কেলকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এমন কোনো নথিপত্র প্রমাণ হিসেবে নেই।”
অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলাটি জাতীয় শিরোনামে উঠে এসেছে এবং ভারতের অন্যতম জনবহুল শহর ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
উচ্চবিত্ত এলাকার বাসভবনে হামলার সময় সাইফ আলী খানকে ছয়বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় এবং ঘাড়ের পেছনেসহ একাধিক জায়গায় আঘাত পান তিনি।
সাইফের বাড়ির নার্স এলিয়ামা ফিলিপ পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন রাতে তিনি সাইফের ছোট ছেলের রুমে ন্যানির সঙ্গে ছিলেন। সেসময় তিনি বাথরুমে দরজার পাশে একজন পুরুষের ছায়া দেখতে পান।
ফিলিপ জানান, এক ব্যক্তি এক হাতে কাঠের বস্তু এবং অন্য হাতে একটি লম্বা ছুরি ধরে হাজির হন এবং তাদের চুপ থাকার হুমকি দেন। পরে তিনি ১০ মিলিয়ন রুপি দাবি করেন।
ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে এলিয়ামা ফিলিপ আহত হন। তিনি আরও জানান, হট্টগোল শুনে সাইফ আলী খান ও তার স্ত্রী ছুটে আসেন, তখন হামলাকারীরা সাইফের ওপর ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যান।
শুক্রবার তদন্তকারীরা হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত পাঁচজনকে আটক করে, পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের চেহারা ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা সন্দেহভাজনের সঙ্গে মিল ছিল, যার ভিত্তিতেই তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
এম.কে
২০ জানুয়ারি ২০২৫