যুক্তরাজ্যে এসাইলাম আবেদনকে কেন্দ্র করে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিপুলসংখ্যক অবৈধ অভিবাসীকে সরকার বিভিন্ন হোটেলে রাখছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষ হোটেলে থাকতে অর্থ খরচ করেন, অথচ অভিবাসীদের বিনা খরচে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
তদন্তে জানা যায়, এসাইলাম আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রায় এক বছরেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত আসে না। দীর্ঘসূত্রিতা কমাতে ব্রিটিশ সরকার একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের পরিকল্পনা করছে, যেখানে আদালতের বাইরে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
তবে অভিবাসী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে। তাঁদের আশঙ্কা, এ ধরনের ব্যবস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশি কমিউনিটির একাধিক আইনজীবী সতর্ক করে বলেছেন, ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ইউকে-তে বাংলাদেশি নাগরিকদের এসাইলাম আবেদন আরও জটিল হতে পারে। বৈধ ভিসায় আসা অনেকেই এখন অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অস্বাভাবিক হারে এসাইলাম আবেদন জমা পড়ছে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এখন নজর থাকবে লেবার সরকারের ওপর, তারা কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করে। বিশেষ করে রিফর্ম ইউকের ডানপন্থী রাজনীতি ক্রমেই চাপ তৈরি করছে সরকারকে ঘিরে, যা ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
এম.কে
২৬ আগস্ট ২০২৫