আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কক্সবাজারের বালুখালির জমিদার পাড়ায় ঢুকে তুমল যুদ্ধ করছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও আরাকান আর্মির সদস্যরা। গোলাগুলির বিকট শব্দে আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে সীমান্ত এলাকায়।
বালুখালির জমিদার পাড়ায় সাবেক ইউপি সদস্য প্রয়াত ইসলাম খানের বাড়ি। মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া এ বাড়ির টিনের বেড়ার পাশে গুলি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ বাড়ির পূর্ব দিকে আধা কিলোমিটার মাঠ। তারপর নাফনদীর বেড়িবাঁধ। তার ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া চেকপোস্ট।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বালুখালি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বালুখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইউনুস বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাদের গোলাগুলির কারণে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
এই এলাকার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তারা।
নাইক্ষ্যংছড়ির ওপারে মিয়ানমারের তমব্রু ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি দখলে নিতে চারদিন ধরে গোলাগুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করছে আরকান আর্মি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা। এতে কেঁপে কেঁপে উঠছে জলপাইতলী, জমিদার পড়াসহ সীমান্তের অন্তত ১৩টি গ্রাম। মার্টার শেল আর গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশেও।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪