15.5 C
London
August 20, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ‘সয়াল্যান্ড’ লক্ষীপুর জেলা

লক্ষীপুর জেলা একটি অন্যতম সয়াবিন উৎপাদনকারী এলাকা। এখানে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিন চাষ করা হয় এবং এটিকে “সয়াবিনের জেলা” হিসেবেও অনেকে চিনে থাকেন। দেশের মোট সয়াবিন উৎপাদনের একটি বড় অংশ এই জেলা থেকে আসে।

লক্ষ্মীপুরে সয়াবিন চাষের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯৮২ সালে রামগতি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম সয়াবিন চাষ শুরু হয়। এরপর বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহায়তায় ধীরে ধীরে এর বিস্তৃতি ঘটে। বর্তমানে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন উপজেলা, বিশেষ করে রামগতি ও কমলনগরে প্রচুর সয়াবিন চাষ হয়।

লক্ষ্মীপুরের মাটি ও আবহাওয়া সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। রবি মৌসুমে (শীতকালে) এখানে প্রচুর সয়াবিন চাষ করা হয়। অনেক সময় বোরো ধান চাষের অনুপযোগী জমিতেও সয়াবিন চাষ করা হয়। সয়াবিন চাষে খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরাও এই ফসলটির দিকে ঝুঁকছেন।

বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলায় ৪৩,৬৬০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় দুই মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদিত হচ্ছে, ফলে মোট উৎপাদন প্রায় ৮৮ হাজার মেট্রিক টন। এখানকার উৎপাদিত সয়াবিনের একটি বড় অংশ বীজ হিসেবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।

কৃষকেরা জানান, সয়াবিন আবাদে খরচ কম। রোগ ও পোকার আক্রমণও কম হয়। চাষাবাদের পদ্ধতি সহজ। বিক্রি করলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায় ধানের চেয়েও বেশি। যে কারণে সয়াবিন চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষকদের দাবি, এ জেলায় সয়াবিনভিত্তিক কারখানা স্থাপন ও দাদন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা হলে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পেয়ে সয়াবিন চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন এবং সরকার যদি প্রযুক্তিনির্ভর কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়, দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে পারবে।

তবে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মাঝে মাঝে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় সয়াবিন চাষিদের। এক্ষেত্রে জলবায়ু ও লবণাক্ততা সহনশীল এবং স্বল্প জীবনকালের সয়াবিনের জাত চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করছে কৃষি বিভাগ।

সর্বশেষ, লক্ষ্মীপুর জেলা সয়াবিন চাষে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং “সয়াল্যান্ড” নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এম.কে
২০ আগস্ট ২০২৫

আরো পড়ুন

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশির মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে টিউলিপের হতে পারে ১০ বছরের জেল

নিউজ ডেস্ক

শেষ ফ্লাইটে দায়িত্বের নজিরঃ প্লেন বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হলেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির