ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক। প্রথমত, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক কেমন হবে, এটা একটা বড় প্রশ্ন। যেহেতু আওয়ামী লীগ সরকার ভারত-ঘেঁষা হিসেবে পরিচিতি ছিল, তাই নতুন সরকারের সঙ্গে ভারতের হৃদ্যতা কতটা বজায় থাকবে, সেটা আরেক প্রশ্ন। আর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের বিষয়টিও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধক হতে পারে।
এই বিষয়গুলো ভাবাচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকেও। শুক্রবার ৩০ আগস্ট দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘স্বাভাবিক কারণেই সাম্প্রতিক অনেক আগ্রহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কথা বলি। আপনারা সবাই জানেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক উঠানামার মধ্য দিয়ে গেছে। আর সরকারে যে থাকে, তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব, এটাই স্বাভাবিক।’
গণ-অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে ড. ইউনূসের চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘ।
তবে পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সে সম্পর্কের পথ যে বন্ধুর, তা স্বীকার করতে দ্বিধা করেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ‘কিন্তু এটা আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। আর রাজনৈতিক পরিবর্তনে বিঘ্নিত হতে পারে। আর আমাদের সম্পর্কের বিষয়টিকে পারস্পরিক স্বার্থের প্রেক্ষাপট থেকে দেখতে হবে।’
প্রসঙ্গত, নয়াদিল্লিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের (ভিআইএফ) ওই অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব রাজীব সিক্রির লেখা ‘স্ট্র্যাটেজিক কোনানড্রামস: রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন জয়শঙ্কর।
তথ্যসূত্রঃ এনডিটিভি
এম.কে
৩০ আগস্ট ২০২৪