ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের বড় বাজার। এ দেশগুলোয় তৈরি পোশাকের ২৪ শতাংশের বেশি রফতানি করে দেশের পোশাক খাতের রফতানিকারকরা। সম্প্রতি বিশ্ববাজার থেকে পোশাক রফতানি কমিয়েছে ইইউ। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের ওপরও। আমদানি কমানো দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে চীন থেকে। চীনের পর সবচেয়ে বেশি আমদানি কমেছে বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ থেকে গেল বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশগুলো আমদানি কমিয়েছে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এল।
ইইউর পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাট প্রকাশিত তথ্য দেখা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরে ইইউর দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি করে ১ হাজার ৬৬২ কোটি ইউরোর। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা কমে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ইউরোয় দাঁড়ায়। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ২৯৩ কোটি ইউরোর পণ্য আমদানি কমিয়েছে ইইউ। প্রবৃদ্ধির হারে, ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির। ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির দেশ রয়েছে মাত্র একটি দেশের। সেটি হলো চীন। ২০২২ সালে চীন থেকে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করে ইইউ, যা চলতি বছরের একই সময়ে এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১২ কোটি ইউরো। অর্থাৎ, চীন থেকে ৪৩২ কোটি ইউরোর পণ্য আমদানি কমিয়েছে ইইউ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ইইউর পোশাকের চাহিদা কমেছে। যার কারণে গত এক বছরে পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইউরোপ। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উপর। তবে সামনে বড়দিন ও বক্সিং ডে উপলক্ষে পোশাক খাতে আবারো সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনীতি ফের ইতিবাচক ধারায় ফিরছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম ও পরিবহন খরচও কমছে। এগুলো প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারার ভিত্তি তৈরি করবে।
এর আগে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিগত সাত মাসে ইউরোপের বাজারে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ পোশাক রফতানি কমেছে। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পও চাপে রয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর ন্যূনতম নতুন মজুরি কার্যকর হলে পোশাক শিল্প আরো চাপের মুখে পড়বে। এ অবস্থায় রফতানি ধরে রাখতে বিজিএমইএ নতুন বাজারগুলোয় রফতানি বাড়াতে কাজ করছে।
এম.কে
১০ ডিসেম্বর ২০২৩