বাংলাদেশ-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব দিনকে দিন বাড়ছে। ফ্যাসিবাদী হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে এই সম্পর্ক ছিল বৈরিতায় পরিপূর্ণ। ড. ইউনূস দায়িত্ব নেয়ার পর গোটা বিশ্ব থেকে স্বাগত বার্তা পেয়েছেন। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো নতুন করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
সবার চোখ এখন ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের দিকে। বাংলাদেশ গোটা বিশ্বের জন্য একটি ভাইটাল পয়েন্ট। সবাই ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে মরিয়া।
গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তখন পার্শ্ববর্তী ভারত উল্টো বৈরিতা করছে। তবে পাকিস্তান ইউনূস সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ লুফে নিচ্ছে।
ছাত্রজনতা হাসিনাকে বিদায় করার পর বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ বেড়েছে। এদিকে নতুন সম্পর্কের অংশ হিসেবে করাচি-চট্টগ্রাম সরাসরি জাহাজ চলাচলও শুরু হয়েছে।
এবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জন্য বড় সুখবর। সমুদ্রপথের পর আকাশ পথেও যোগাযোগ স্থাপন হতে চলেছে দুইদেশ। চলতি বছরে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পাকিস্তানের এমন উদ্যোগে ঘুম হারাম মোদির।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানান, চলতি বছরেই সরাসরি বাংলাদেশের সাথে সরাসরি বিমান চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতেই এই লক্ষ্য। বিমান চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সাথে গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে পাক হাইকমিশনার আরো জানান ঢাকা থেকে করাচি পর্যন্ত বিমান চালু হলে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মধ্যপ্রাচ্য এবং মধ্যএশিয়া রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে পাকিস্তানকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে।
এম.কে
২২ জানুয়ারি ২০২৫