বৃটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা পূর্ব লণ্ডনের বাঙ্গালী অধ্যুষিত এলাকা আজ সফর করেছেন। আজ বুধবার ৮ই ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইংরেজি স্থানীয় সময় দুপুর এগারোটার দিকে তারা পূর্ব লণ্ডনে পৌঁছান।
ব্রিটেনে বর্ণবাদী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত আলতাব আলী পার্ক পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বাঙালিপাড়ায় রাজার আনুষ্ঠানিক সফর শুরু হয়। এখানে ষাট ও সত্তর দশকে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাজা।
রাজা ও রাজার স্ত্রীকে একনজর সামনা সামনি দেখতে তীব্র শীতের মধ্যে অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন। আলতাব আলী পার্কে দর্শনার্থীদের সঙ্গে করমর্দন ও কুশল বিনিময় করেন রাজা। এ সময় টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মেয়র লুৎফুর রহমান রাজাকে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাননিম, এই সফরের আয়োজক ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সপিরেশন (বিবিপিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা কোরেশী এমবিই, জেপি ও টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর আবদাল উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আলতাব আলী পার্ক থেকে ব্রিকলেনে প্রবেশকালে রাস্তার দুপাশে হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দা রাজা ও কুইন কনসোর্টকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশি তরুণীরা নৃত্যের তালে নেচে গেয়ে রাজাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে।
রাজার সফর উপলক্ষে ব্রিকলেনের সড়কগুলো সজ্জিত হয় নান্দনিক রূপে। নান্দনিকতার সর্বত্রই ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া।
পরে বাংলা টাউনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি দিয়ে রাজাকে আপ্যায়ন করা হয়। কুইন কনসোর্টকে উপহার দেওয়া হয় বাংলাদেশি ঐতিহ্যের স্মারক জামদানি শাড়ি।
রাজার দায়িত্ব পালন শুরুর পর বাঙালিপাড়ায় এবারই প্রথম সফরে আসছেন রাজা চার্লস। রাজা হওয়ার আগে প্রিন্স চার্লস ২০০১ সালে ইস্ট লন্ডন মসজিদ পরিদর্শনে এসেছিলেন। তারও আগে ১৯৮৭ সালে ব্রিকলেনে একটি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু, বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্রিটেনে চার প্রজন্মের সংগ্রামের ইতিহাসের পথ বেয়ে বিভিন্ন অর্জন, ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের ব্রিটেনের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে অভাবনীয় সাফল্যকে অনুপ্রাণিত করতে বুধবারের এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এম.কে
০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইংরেজি