সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের বাসায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সেনা কর্মকর্তাদের একটি বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে আড়াই কোটি টাকা জব্দ করেছে।
ঢাকায় তার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই টাকা জব্দ করা হয়। দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তা বলেন, সাইফুল আলম পলাতক থাকায় যৌথবাহিনী তার বাসায় অভিযান চালায়। পরে দুদককে খবর দেওয়া হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সাইফুল আলম তাদের কাছে পলাতক হিসেবে চিন্তিত।
কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্ধারকৃত টাকা বর্তমানে দুদকের হেফাজতে আছে। আগামীকাল রবিবার তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লে. জেনারেল সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগ আসে দুদকে। দুদকের গোয়েন্দা সেল গোপন অনুসন্ধান করে তার নামে অবৈধ সম্পদের আমলযোগ্য তথ্য পায়।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে প্রথমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। একই সঙ্গে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়।
সূত্রঃ বাংলা আউটলুক
এম.কে
০১ মার্চ ২০২৫