TV3 BANGLA
শীর্ষ খবর

বায়োমেট্রিক রেসিডেন্স পারমিট প্রতিস্থাপন হতে যাচ্ছে বড় বিপদের নাম

আইনজীবী এবং অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা দাতব্য প্রতিষ্ঠান সতর্ক করেছেন অভিবাসীদের নতুন ডিজিটাল ভিসায় স্যুইচ করার বিষয় নিয়ে উইন্ডরাশ কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে৷

এই বছরের শেষ নাগাদ আনুমানিক ৫ লাখ বা তার বেশি নন-ইইউ অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য বিআরপি কার্ড নিতে হবে। তাদের বায়োমেট্রিক রেসিডেন্স পারমিট (বিআরপি) প্রতিস্থাপন করতে হবে – যা তাদের বসবাস, ভাড়া, কাজ এবং সুবিধা দাবি করার অধিকারের প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে।

প্রত্যেক নন ইইউ অভিবাসীদের ই-ভিসা অ্যাক্সেস করার জন্য প্রত্যেককে ইমিগ্রেশন (UKVI) ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। হোম অফিস সম্প্রতি একটি ট্রায়াল গ্রুপকে ডিজিটাল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে ইমেইল করেছে। অনেক অভিবাসী তাদের সলিসিটরদের ইমেইল ঠিকানা তাদের হোম অফিসের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করছেন বিধায় আইনজীবীদের কাছে ইমেইল গিয়ে পৌঁছেছে। কিন্তু আইনজীবীদের নিকট হতে ইমেইলের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া কঠিন হয়েছে নন ইইউ অভিবাসীদের জন্য।

ডেটা সুরক্ষার কারণে আমন্ত্রণ মূলক ইমেইল হতে ব্যক্তিগত বিবরণ বাদ দেওয়া হয়েছে। বিধায় আইনজীবীরা তাদের হাজার হাজার ক্লায়েন্টের মধ্যে কোনটি কার জন্য প্রেরণ করেছে হোম অফিস তা নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন। যার কারণে ইমেলগুলি ফরওয়ার্ড করতেও সমস্যার মুখে পড়েছেন আইনজীবীরা বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়৷

ইমিগ্রেশন ল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের আইনি পরিচালক জো ব্যান্টেলম্যান বলেন, “৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে নন ইইউ অভিবাসীরা ই-ভিসার অ্যাক্সেস ছাড়া তাদের যুক্তরাজ্যে অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করতে পারবেন না। হোম অফিস তাদের উইন্ডরাশ প্রজন্মের সদস্যদের অনুরূপ পরিস্থিতিতে রেখেছে। তাদের মর্যাদা আছে, কিন্তু তারা তা প্রমাণ করতে পারবেন না।”

এই ইস্যুতে হোম অফিসের দুর্বল ব্যবস্থাপনা পরিপ্রেক্ষিতে,  হাজার হাজার লোক ২০২৪ সালের মধ্যে ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে না। যা ভবিষ্যতে বিরাট বিপদ হয়ে দেখা দিবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অভিবাসন আইনজীবীরা আশঙ্কা করছেন সরকারের পরিকল্পিত প্রচারের ব্যর্থতার কারনে অনেক বয়স্ক লোক বা ইংরেজি কম জানা লোক সমূহ ঝামেলার সম্মুখীন হবেন।

হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ ই-ভিসা যে কারো ইউকে ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসের নিরাপদ নিশ্চিতা প্রদান করবে। যা আইডেন্টিটি চুরি রোধ করবে এবং জনসাধারণের জন্য হবে সাশ্রয়ী ব্যবস্থা। ২০২৫ সালের ভিতরে ই-ভিসা দিয়ে ভৌত নথি প্রতিস্থাপন করা হবে। যা যুক্তরাজ্যের সীমান্ত এবং অভিবাসন ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের জন্য হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৮ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

ফ্রান্স হতে যুক্তরাজ্যে ট্রাকে আসতে গিয়ে মৃত্যু

হোম সেক্রেটারির পদ ছাড়লেন সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি প্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যা