সৌদি আরব বিদেশি বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা এবং অনন্য দক্ষতা ও বিশেষত্বের অধিকারী প্রতিভাবানদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
এসপিএ অনুসারে, বৃহস্পতিবার একটি রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা সৌদি আরবের বৈশ্বিক প্রতিভা অনুসন্ধানের প্রতিশ্রুতি প্রমাণ করে।
দেশটি তার ভিশন ২০৩০ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম প্রতিভাবান ও দক্ষ লোকদের সন্ধান করছে। ভিশন ২০৩০ উদ্যোগটি ব্যতিক্রমী সৃজনশীল মনন আকর্ষণ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের গভীর আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
ভিশন ২০৩০ হল সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনা, যা সৌদি আরবের তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার একটি মাস্টারপ্ল্যান। ম্যাকেঞ্জির সহযোগিতায় ৩৭ বছর বয়স্ক যুবরাজ এই পরিকল্পনা তৈরি করেন।
এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উল্লেখযোগ্য হলো ‘নিওম’, যেখানে ‘দ্য লাইন’ নামে অত্যাধুনিক মেগাসিটি নির্মাণ করা হবে। মরুভূমিতে কাচের কাঠামোর এই শহরের প্রস্থ হবে ৬৫০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ১০০ মাইল। এখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হবে এবং ৯০ লাখ মানুষ বসবাস করবে।
ভিশন ২০৩০-এর আওতায় ২০টির বেশি প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে লোহিত সাগরের তীরে অবকাশযাপন কেন্দ্র এবং কিদিয়া নামে একটি বিনোদন ও শিল্পকলার শহর অন্তর্ভুক্ত।
এই কর্মযজ্ঞের অর্থায়ন করা হচ্ছে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড থেকে, যার মূল্যমান ৭০ হাজার কোটি ডলার। এই তহবিল থেকে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, যেমন সফটব্যাংক, নিউ ক্যাসল ফুটবল ক্লাব, এবং টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী লুসিড।
সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তেল বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য তেল বহির্ভূত রপ্তানি জিডিপির ১৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।
সূত্রঃ জিও
এম.কে
০৬ জুলাই ২০২৪