15.6 C
London
October 5, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

বিবি স্টকহোমে আশ্রয়প্রার্থীর মৃত্যুঃ মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নে ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারল না হোম অফিস

যুক্তরাজ্যের ডরসেটে বিতর্কিত বিবি স্টকহোম বার্জে আশ্রয়প্রার্থী লিওনার্ড ফারুকুর মৃত্যু নিয়ে হওয়া ইনকোয়েস্টে হোম অফিসের ব্যর্থতা প্রকাশ পেয়েছে। করোনার জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য মূল্যায়নের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হোম অফিস। যদিও তিনি রায় দেন, বার্জে স্থানান্তর করাই ফারুকুর মৃত্যুর সরাসরি কারণ নয়।

২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ২৭ বছর বয়সী লিওনার্ড ফারুকু বার্জের শাওয়ার কিউবিকলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যান। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ফারুকু আত্মহত্যা করেছেন ফাঁস দিয়ে। তার সহকক্ষবাসী ইউসুফ কার্গবো জানান, ফারুকু ছিলেন শান্ত ও নিরব মানুষ, যিনি নিজের কাজ নিয়ে থাকতেন।

ফারুকুর আগের আবাসন ডেভনের এসপ্ল্যানেড হোটেল থেকেই তার মানসিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেখানে তিনি আসবাবপত্র নষ্ট করেন, স্টাফদের সঙ্গে চিৎকার করেন এবং আরেক বাসিন্দার সঙ্গে ঝগড়া করেন। বার্জে পাঠানোর খবর শুনে তিনি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলেও জানা যায়।

হোম অফিসের কন্ট্রাক্টর ক্লিয়ারস্প্রিংস-এর সেফগার্ডিং টিম লিডার নিয়া ডাউড ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর ইমেইলের মাধ্যমে ফারুকুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি সতর্কবার্তা পাঠান। কিন্তু হোম অফিস কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ইনকোয়েস্টে হোম অফিসের তৎকালীন ডেপুটি ডিরেক্টর টিম রাইমার স্বীকার করেন, “হয়তো ইমেইলটির ফলোআপ করা উচিত ছিল।” করোনার র‌্যাচেল গ্রিফিন একে “হারানো সুযোগ” বলে আখ্যা দেন।

ফারুকুর দুই বোন মারসিদা কেচি ও জোলা দুশ্কু আদালতে দেওয়া বিবৃতিতে জানান, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তারা এখনও উত্তর খুঁজছেন। “কেন নর্দি’কে (ফারুকুর ডাকনাম) বার্জে পাঠানো হলো, যখন তার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না—আমরা তার ব্যাখ্যা চাই,” বলেন তারা।

পারিবারিক ইতিহাস অনুযায়ী, ফারুকুর মা মারা যান যখন তার বয়স ছিল ১৭, আর বাবাকে হারান ২২ বছর বয়সে। এই দুই আঘাত তাকে গভীরভাবে আঘাত করে এবং ধীরে ধীরে তিনি একাকী হয়ে পড়েন। ২০২২ সালের আগস্টে যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর প্রথমে আত্মীয়দের সঙ্গে থাকলেও পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সর্বশেষ তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল ২০২৩ সালের আগস্টে।

লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বার্জে আশ্রয়প্রার্থী রাখার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি এবং নভেম্বরে শেষ বাসিন্দারা চলে যান। বর্তমানে ব্যয়বহুল হোটেলের বিকল্প খুঁজতে সরকার নতুন আবাসন ব্যবস্থার কথা ভাবছে, যেখানে আবারও বার্জ ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
০৩ অক্টোবর ২০২৫

আরো পড়ুন

এবার ওমিক্রনের টিকার অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য

দল থেকে পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে রিফর্ম ইউকের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিঃ ‘বিদেশি অপরাধীদের আর ব্রিটেনে ঠাঁই নেই’

নিউজ ডেস্ক