5.3 C
London
December 28, 2024
TV3 BANGLA
শীর্ষ খবরস্পোর্টস

বিশ্বকাপ আয়োজন করে কাতারের লাভ হবে, নাকি লোকসান?

ক’দিন বাদেই কাতারে বসতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ২২তম আসর। টিকিট ও পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে কর্পোরেট স্পন্সরশিপ, প্রাইজমানি ও প্রচুর পরিমাণের অর্থ ব্যয় হবে টুর্নামেন্টকে ঘিরে। এর বিপরীতে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে তো আয়োজক কাতার?

 

সরাসরি বললে, এর উত্তর ‘না’-ই আসবে। অতীত ইতিহাস বলছে বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রস্তুতি, হোটেল নির্মাণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদির পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে আয়োজক দেশ। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খরচ করা সেই অর্থ আর ফিরে আসে না।

 

বিশ্বকাপ নিশ্চিতভাবেই টাকার খনি। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে টিভি স্বত্ব বিক্রি হয়েছিল ৪.৬ বিলিয়ন ডলারে। কিন্তু এর পুরোটাই যায় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার পকেটে।

টিকিট বিক্রির যে কোম্পানি তা শতভাগ ফিফার মালিকানাধীন থাকে। ২০১৮ চক্রে বিপণন খাত ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যে বিক্রি হয়। সেটাও নিজেদের কাছে রেখে দেয় ফিফা। যদিও টুর্নামেন্টের মূল খরচ তারাই বহন করে। এবার কাতারকে সেজন্য ১.৭ বিলিয়ন ডলার দেবে তারা। সেখানে ৪৪০ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ।

 

তবে বিশ্বকাপের জন্য অবকাঠামো, হোটেল ও অবকাশ যাপনের সুবিধা, সড়ক ও রেল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আলাদাভাবে ২০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে কাতার।

 

প্রায় মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে কাতারে। তাই পর্যটন ব্যবসা, হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের আয় বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সেই খরচ তুলতে অতিরিক্ত সক্ষমতার প্রয়োজন। কেননা বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে ব্যয় সাধারণত স্বল্প মেয়াদে উৎপন্ন রাজস্বের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তাই এই সংক্ষিপ্ত সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

 

দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বকাপের সময় হোটেলে রুম ভাড়ার মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কর্মীদের বেতন সেই পরিমাণে বাড়ে না। তাই যাদের টাকা আছে তারাই কেবল টাকা কামাতে পারবেন। বিশ্বকাপ থেকে আসা পর্যটকরা পণ্য, পানীয় বা যা কিছু ক্রয় করে থাকেন; তার একটিও আয়োজক দেশের রাজস্বে যাচ্ছে না। কারণ বিশ্বকাপ বিডিং প্রক্রিয়ায় ফিফা ও তাদের স্পন্সর ব্র্যান্ডগুলোর জন্য প্রচুর ট্যাক্স বিরতির প্রয়োজন। ২০০৬ বিশ্বকাপের বিডের জন্য ২৭২ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স বিরতির দাবি করেছিল জার্মানি।

সাধারণ পর্যটকেরা মূলত আয়োজক দেশে ভিড়, ট্রাফিক ও মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু গত ১ নভেম্বর থেকে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকিট না থাকলে কোনো ব্যক্তি কাতারে প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই স্বল্প মেয়াদে চিন্তা করলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখেই পড়বে আয়োজক দেশ।

 

 

১৮ নভেম্বর ২০২২
নিউজ ডেস্ক

আরো পড়ুন

আবারো মেলিন্ডাকে বিয়ে করতে চান বিল গেটস!

রাজনীতিতে কিছু পুরুষ “পশুর মতো আচরণ করে”: সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান

বিপিএল থিম সংয়ের কয়েক লাইন লিখেছেন ড. ইউনূস!