পাকিস্তানের পেস আক্রমণ যেনতেন নয়, বিশ্বসেরা বলেছিলেন সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফের এই আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করে দিলো যুক্তরাষ্ট্র। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নেওয়ার পর পাকিস্তান বধ করলো তারা।
১৬০ রানের লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান তুলেছিল তারা। স্টিভেন টেলর ১৬ বলে ১২ রান করে পাকিস্তানের প্রথম শিকার হন। নাসিম শাহ তাকে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ বানান।
তারপর মোনাঙ্ক প্যাটেল ও আন্দ্রিয়েস গাওস যেন পাকিস্তানের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিলেন। ১৩তম ওভারে দলীয় স্কোর সেঞ্চুরি হয়ে যায়। অবশেষে ৬৮ রানের এই জুটি ভেঙে দেন হারিস। গাওসের অফস্টাম্প ভেঙে দেন পাকিস্তানি পেসার।
তার আগেই মোনাঙ্ক শাহীন আফ্রিদিকে টানা চার-ছয় মেরে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান। এরপর অধিনায়ক আর বেশিক্ষণ টেকেননি। আমিরের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন তিনি ৩৮ বলে ৫০ রান করে।
৩৬ বলে যুক্তরাষ্ট্রের তখন লাগতো ৪৯ রান। আমির, শাহীনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। শেষ ওভারে লাগতো ১৫ রান। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ২৩ রান দেওয়া হারিসের কাঁধে দায়িত্ব পড়ে দলকে জেতানোর। প্রথম তিন বলে তিনি ৩ রান দিলেও চতুর্থ বলটি ফুলটস পেয়ে জোন্স ছক্কা মারেন। ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। শেষ দুই বলে প্রয়োজন কমে দাঁড়ায় ছয় রানে। পঞ্চম বলটি জোন্স সিঙ্গেল নেন এবং নিতিশ কুমার শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ সুপার ওভারে নেন। ৩ উইকেটে ১৫৯ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।
সুপার ওভারে বল করেন আমির। প্রথম বলেই চার মারেন জোন্স। দ্বিতীয় বলে দুই রান নেন আমেরিকার ব্যাটার। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন তিনি। পরেরটি ওয়াইড, দুটি রান যোগ হয়।আর দুটি ওয়াইড দেন পাকিস্তানি পেসার। শেষ বলে রান আউট হন জোন্স। তাতে ১৯ রানের কঠিন টার্গেট দেয় স্বাগতিকরা।
ফখর জামান ও ইফতিখার আহমেদ সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেছিলেন। সৌরভ নেত্রাভালকার বোলিংয়ে আসেন। প্রথম বল ডট দেন তিনি। দ্বিতীয় বলে ইফতিখার চার মারেন। পরেরটি ছিল ওয়াইড। তৃতীয় বৈধ বলে ইফতিখারকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান নিতিশ। পরেরটি ওয়াইড, তারপর বাই থেকে চার রান যোগ হয়। পঞ্চম বলে দুটি রান নেন শাদাব খান। শেষ বলে লাগে ৭ রান। শেষ পর্যন্ত পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
সূত্রঃ ক্রিক ইনফো
এম.কে
০৭ জুন ২০২৪