করোনার দুই ডোজের পর অতিরিক্ত আরেক ডোজ অর্থাৎ ‘বুস্টার ডোজ’ নেওয়ার পরও ইসরাইলে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে। সেদেশে করোনার অতিসংক্রামক ডেল্টা ধরনের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এদিকে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিষয়টিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বলা হচ্ছে, ইসরায়েলের এই সংক্রমণ কমানো না গেলে বিদেশি মিত্র দেশগুলোতে কোভিডের আরেকটি ঢেউ মাথাচাড়া দিতে পারে।
পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলে ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১১ হাজার করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ। এর আগে ইসরাইলে একদিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল গত ১৮ জানুয়ারি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৯৪৭।
অথচ, টিকাদানের হারে শীর্ষে থাকা এই দেশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট তার পূর্বসূরি বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দিনের পর দিন লকডাউন আরোপের বিরোধী ছিলেন। তার দাবি টিকার মাধ্যমে এবং মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধির মাধ্যমে ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ইসরাইলের সরকার ১২ বছরের বেশি বয়সি সবাইকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ২০ লাখের বেশি ইসরাইলিকে এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশটির ৯৩ লাখ মানুষের ৬০ শতাংশ টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন, এর মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরাইলে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত অনেকটা কমে গিয়েছিল। এর পর গত জুনে প্রায় সব ধরনের মহামারি বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
২ সেপ্টেম্বর ২০২১
সূত্র: ডেইলি মেইল