বাংলাদেশের জন্য গৌরবের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের হারিয়ে, একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ‘ডিজিটাল হেলথ ট্র্যাক’ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বুয়েটের পাঁচ শিক্ষার্থীর দল ‘নিওস্ক্রিনিক্স’।
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল হার্ভার্ড, এমআইটি, স্ট্যানফোর্ড, ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ক্যালটেক)-এর মতো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। তাদের সবাইকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করে নেয় বাংলাদেশের তরুণ মেধাবীরা।
নিওস্ক্রিনিক্স দলের সদস্যরা হলেন বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের পাঁচজন শিক্ষার্থী। তারা এমন একটি প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধান তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যসেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও স্বয়ংক্রিয় রোগ নির্ণয়ে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
নিওস্ক্রিনিক্স দলের তৈরি সিস্টেমটি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) এবং বিগ ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দ্রুত রোগ শনাক্ত ও প্রাথমিক চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারে। বিশেষ করে গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একটি বড় সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেল বুয়েটের এই উদ্ভাবনকে “সহজলভ্যতা, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং সামাজিক প্রভাব” এই তিনটি দিক থেকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করে। ফলে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শক্তিশালী দলগুলোকেও তারা পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়।
বুয়েটের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “এই অর্জন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভার আন্তর্জাতিক সম্ভাবনা আরও একবার প্রমাণ করলো।”
দলের সদস্যরাও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে তারা তাদের প্রকল্পটিকে বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান।
এম.কে
২৭ এপ্রিল ২০২৫