যুক্তরাজ্যের স্টেট পেনশন ব্যবস্থা জন্মসালভিত্তিক শ্রেণিবিভাগের মাধ্যমে বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, যেসব পেনশনভোগী নতুন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তারা প্রতি বছর অতিরিক্ত £২,৭৯৭ পর্যন্ত বেশি পাচ্ছেন—যা পুরনো স্কিমভুক্তদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
পুরুষদের ক্ষেত্রে যারা ১৯৫১ সালের ৬ এপ্রিল বা তার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১৯৫৩ সালের ৬ এপ্রিল বা তার পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তারা নতুন স্টেট পেনশনের আওতায় পড়েন। এই স্কিমে একজন পেনশনভোগী সপ্তাহে সর্বোচ্চ £২৩০.২৫ পান, যা বছরে £১১,৯৭৩ হয়।
অন্যদিকে, পুরনো বেসিক স্টেট পেনশনের আওতায় থাকা ব্যক্তিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ £১৭৬.৪৫ পান, যা বছরে মাত্র £৯,১৭৫.৪০। ফলে বছরে এই দুই শ্রেণির মধ্যে পার্থক্য দাঁড়ায় £২,৭৯৭.৬০—যা অনেক প্রবীণ অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।
এই বছর এপ্রিল থেকে স্টেট পেনশনের উভয় স্কিমে ৪.১ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে। নতুন স্কিমে এই বৃদ্ধির ফলে একজন পেনশনভোগী বছরে £৪৭০ অতিরিক্ত পাচ্ছেন, আর বেসিক স্কিমে এই বাড়তি পরিমাণ মাত্র £৩৬০।
কিন্তু শুধুমাত্র বয়স নয়, একজন পেনশনভোগী কত টাকা পাবেন তা নির্ভর করে তার ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে অবদানের পরিমাণের উপর। পূর্ণ নতুন স্টেট পেনশন পেতে হলে প্রয়োজন হয় ৩৫ বছর যোগ্য ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স রেকর্ড। কেউ যদি কম বছরে অবদান রাখেন, তবে তাদের পেনশনও সেই অনুপাতে কম হবে।
বিষয়টি নিয়ে অনেক প্রবীণ নাগরিক এবং সংগঠন ‘বয়স-ভিত্তিক বৈষম্য’ এবং ‘অসাম্যপূর্ণ সরকারী নীতি’ বলে সমালোচনা করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের উচিত সমতাভিত্তিক সংস্কার চালু করে সব শ্রেণির পেনশনভোগীদের জন্য ন্যায্য সুবিধা নিশ্চিত করা।
সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস
এম.কে
২৫ জুলাই ২০২৫