যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বহু নাগরিক সম্প্রতি HM Revenue & Customs (HMRC)–এর চিঠি পেয়েছেন, যেখানে তাদের বিদেশে অর্থ প্রেরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে নিয়মিত অর্থ পাঠানো ব্যক্তিদের লেনদেন নিয়ে কর্তৃপক্ষের তীক্ষ্ণ নজরদারি শুরু হয়েছে।
যাদের আয় নিয়মিতভাবে ঘোষিত ও ট্যাক্স রিটার্নে প্রতিফলিত, তাদের জন্য এই তদন্তে তেমন কোনো ঝুঁকি নেই বলে জানাচ্ছেন ট্যাক্স পরামর্শকরা। তবে, যারা রাষ্ট্রীয় বেনিফিট গ্রহণ করেন কিন্তু বিদেশে উল্লেখযোগ্য অঙ্কের অর্থ পাঠাচ্ছেন—তাদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।
বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্বধারী বেনিফিটভোগীরা এখন নতুন আশঙ্কার মুখে। HMRC তাদের বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মানি ট্রান্সফার রেকর্ড এবং ঘোষিত আয়ের মধ্যে অমিল থাকলে বেনিফিট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিতে পারে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক তদারকি সংস্থার এই পদক্ষেপকে অনেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সরকার অভিবাসীদের আর্থিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে জনআস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে।
এদিকে, রিফর্ম ইউকে দল ও কনজারভেটিভ পার্টিও ইতিমধ্যে অভিবাসন ও বেনিফিট–সংক্রান্ত নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তারা বলছে, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের ট্যাক্স ও বেনিফিট ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, নইলে সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসীদের অনেকেই পরিবারকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে দেশে টাকা পাঠান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ঘোষণা না দিলে ভবিষ্যতে তদন্তে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে

