ব্রিক লেনে নতুন আবাসিক ও অফিস প্রকল্পের পরিকল্পনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ট্রুম্যান এস্টেটস ও জিলুফ এলএলপি তিনটি স্থানে ৪৪টি ফ্ল্যাট ও অফিস নির্মাণের প্রস্তাব করেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছে, এবং বিষয়টি এখন পরিকল্পনা পরিদর্শন দপ্তরে গড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আন্দোলনকারী ডেবা মালিক এই প্রকল্পকে ব্রিক লেনের ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, বহুদিনের বহুসাংস্কৃতিক ও বাংলাদেশি পরিচয়ে সমৃদ্ধ এই এলাকা বিলাসবহুল প্রকল্পের কারণে তার নিজস্ব চরিত্র হারাবে। তার মতে, এলাকাটিতে দামী অফিস বা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের প্রয়োজন নেই; সবচেয়ে জরুরি সাশ্রয়ী আবাসন, যা এই প্রকল্পে বিবেচনা করা হয়নি।
ডেবা মালিক আরও সতর্ক করে বলেন, নতুন অফিস স্পেস সস্তা হবে না, বরং তার প্রভাবে আশপাশের ভাড়া আরও বেড়ে যেতে পারে। জমির মালিকেরা সাধারণত এই ধরনের দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া বাড়িয়ে দেন, যা স্থানীয়দের জন্য আরও চাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যে লন্ডনের বাড়তি ভাড়া বোঝা বাংলাদেশি সম্প্রদায়সহ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য উদ্বেগজনক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
এদিকে, সাশ্রয়ী আবাসনের সংকট বাড়তে থাকা সত্ত্বেও প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পটি যেন মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত—এমনই মন্তব্য স্থানীয়দের। তারা মনে করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ব্রিক লেনের ঐতিহ্য, অর্থনীতি এবং জনজীবন—সবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই তারা পরিকল্পনা বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবং উন্নয়ন নয়, এলাকার স্বকীয়তা রক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্রঃ দ্য মেট্রো
এম.কে

