তুরস্কে আটকা পড়া এক ব্যক্তি হোম অফিসের আকস্মাৎ ইউ-টার্নের কারণে যুক্তরাজ্যে ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
যুক্তরাজ্যের হোম অফিস সেই ব্যাক্তিকে অস্বীকার করার কারণে তিনি তুরস্কে আটকে পড়েন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তার ব্রিটিশ পুত্র থেকে তাকে আলাদা করে রেখেছিল হাস্যকর হোম অফিসের খামখেয়ালিপনা। অবশেষে যুক্তরাজ্য হোম অফিস জানিয়েছে সেই ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ফিরে যেতে কোনো বাঁধা নেই এবং তাকে এভাবে আটকানো ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ৩৫ বছর বয়সী তোয়ালাকে তার পরিবারের সাথে ম্যানচেস্টারে ফিরে আসার ফ্লাইটে উঠতে বাঁধা প্রদান করা হয়। সিয়াবঙ্গা তোয়ালা আঙ্কারায় লিম্বোতে গত ১৮ মাস কাটিয়েছেন একাকী। যার কারণে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন ন্যায় বিচারের জন্য।
অবশেষে হোম অফিস তাদের দেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পরে তোয়ালা তার নয় বছরের ছেলে ম্যাসনের সাথে পুনরায় একত্রিত হতে পারবেন চেস্টারের বাড়িতে বলে আশা করা হচ্ছে।
আঙ্কারা থেকে ফোনে স্বস্তির হাসিতে তোয়ালা বলেন, “আমি আজ খুব খুশি।” তিনি অশ্রুসিক্ত নয়নে তার গত ১৮ মাসের দূর্দশার কাহিনীও বর্ণনা করেন। তোয়ালা বলেন তিনি “ নিষ্ঠুর রাজনীতির শিকার”।
উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি পান তোয়ালা। ২০১৮ সালে গাঁজা রাখার দায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং চার মাস কারাগারে ছিলেন। তোয়ালা একজন লরি ড্রাইভার হিসাবে কাজ করছিলেন ইউকেতে। পরিবারের সদস্যদের সাথে হলিডে হতে ফেরার সময় তোয়ালাকে ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে যুক্তরাজ্যের বিমানে উঠতে বাঁধা প্রদান করা হয়।
তোয়ালার আইনজীবী নিকোলাস হিউজেস বলেন,
” আমি তোয়ালার পক্ষে সিদ্ধান্ত আসায় সস্তি পেয়েছি তবে একটি ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে একজন বাবা তার ৯ বছর বয়সী সন্তান হতে ১৮ মাস দূরে ছিলেন। হোম অফিস একজন মানুষের জীবন থেকে এভাবে ১৮ মাস কেড়ে নিতে পারে না। এটা অবশ্যই বড়ই অন্যায্য। ”
হোম অফিসের সাথে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান যোগাযোগ করলে তারা জানায়, কোনো পৃথক মামলা নিয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার তাদের নেই।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৬ জুন ২০২৪