৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো, ব্রিটিশ পাসপোর্টগুলিতে ‘হিজ ম্যাজেস্টি’ উপাধি ব্যবহার হতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। তৃতীয় কিং চার্লস রাজা হওয়ার পর এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
এইচএম পাসপোর্ট অফিস গ্রীষ্মের ব্যস্ততায় হলিডেকালীন সময় হতেই এই ব্যতিক্রমী পরিষেবা সরবরাহ শুরু করবে বলে জানা যায়।
২০২৩ সালের প্রথম ৬ মাসে, ৫ মিলিয়নেরও বেশি পাসপোর্ট ১০ সপ্তাহের মধ্যেই জারি করেছে এইচএম পাসপোর্ট অফিস। যদিও গ্রীষ্মকালীন সময়ে পাসপোর্ট পরিষেবা প্রদানে চাপ বেশি থাকায় অনেকক্ষেত্রে ১০ সপ্তাহ সময় অতিবাহিত হয়েছে বলে জানা যায়।
স্বরাষ্ট্রসচিব সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান বলেন, ৭০ বছরের পর পাসপোর্টে আবারও ‘হিজ ম্যাজেস্টি’ ব্যবহার হতে যাচ্ছে। ১৯৫২ সালের পর ব্রিটিশ পাসপোর্টগুলিতে আবারও হিজ ম্যাজেস্টি ব্যবহার হতে যাচ্ছে। আমরা ইতিহাসের অংশ হিসেবে এতে জড়িত হওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছি। এটা হবে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মুহূর্ত।
যেহেতু এইচএম পাসপোর্ট অফিস তার ইতিহাসে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে তাই আমি যারা এইচএম পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত তাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা ব্রিটিশ জনগণের চাহিদা মেটাতে পুরো দল হিসেবে কঠিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তবে আমি জনসাধারণকে সময় হাতে রেখে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার বিষয়ে নজর দেয়ার অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য যে, তথ্যানুযায়ী ব্রিটিশ পাসপোর্ট ১৪১৪ সালে পঞ্চম হেনরি ভি এর রাজত্বের সময় ব্যবহার শুরু হয়। ১৯১৫ সালে প্রথম আধুনিক স্টাইলের ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহারে আসে যেখানে ছবি এবং স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়।
১৯৭২ সালে ওয়াটারমার্ক সুরক্ষা ব্যবস্থা সহ পাসপোর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। তখন থেকে নতুন সিকিউরিটি বৈশিষ্ট্য ব্রিটিশ পাসপোর্টে যুক্ত করা হয়েছে। পাসপোর্টে ওয়াটারমার্কস, হলোগ্রাম, বিস্তৃতভাবে মুদ্রিত নিদর্শন থেকে পলিকার্বোনেট পৃষ্ঠায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।
প্রথম লাল রংয়ের মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট ১৯৮৮ সালে জারি করা হয় এবং ৩০ বছর পরে ২০২০ সালে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিটের মাধ্যমে আলাদা হয়ে গেলে আবারও স্বতন্ত্র নীল রংয়ের পাসপোর্টের ব্যবহার পুনরায় চালু হয়।
এম.কে
২০ জুলাই ২০২৩