ব্রিটিশ সরকারি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টারা বলছেন, মন্ত্রীরা যদি হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দিনে ৩ হাজারে পৌঁছানো বন্ধ করতে চান, তবে ইংল্যান্ডে খুব শীঘ্রই আরও কঠোর বিধিনিষেধ আনা দরকার।
গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপের একটি মিটিং-এর সারাংশের ফুটেজ লিক হয় যা বিবিসির হাতে পৌছে। সেখান থেকেই এসব তথ্য জানা যায়।
ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের সাথে সম্পৃক্ত হাসপাতালে ভর্তির ঢল নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। ‘প্ল্যান-বি’ নামে অভিহিত বর্তমান বিধিনিষেধের পরিমাণ যদি বাড়ানো না হয়, তবে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছতে পারে।
এপিডেমিলজিস্ট নিল ফার্গুসন বলেছেন, লন্ডনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তির সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েছেই চলেছে।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, অন্তত ৮৯টি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয়েছে যা ডেল্টা স্ট্রেনের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
গত জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তির সর্বোচ্চ সাত দিনের রেকর্ড বলছে, ওইসময় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিকে গত সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন এমন লোকের সংখ্যা বাড়ছে।
ইংল্যান্ডের বর্তমান ‘প্ল্যান বি’ নিয়মগুলির মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট ইভেন্টের জন্য কোভিড পাস, বেশিরভাগ স্থানে মাস্ক ব্যবহার এবং যদি সম্ভব হয় বাড়ি থেকে কাজ করা।
যুক্তরাজ্যের বাকি দেশগুলো ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকার বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। ক্রিসমাসে একই সময়ে সর্বোচ্চ তিনটি পরিবারের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ সীমিত রাখতে বলেছে স্কটল্যান্ড। এছাড়া ২৭ ডিসেম্বর থেকে নাইটক্লাবগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ওয়েলস।
১৮ ডিসেম্বর ২০২১
এনএইচ