4.3 C
London
January 22, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ব্রিটিশ মিউজিয়ামের কাছে পুরাকীর্তি ফেরত চাইছেন চীনারা

ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে একের পর এক পুরাকীর্তি চুরি বা হারিয়ে যাচ্ছে। বিদেশিদের এসব মূল্যবান ঐতিহাসিক নিদর্শনের যথাযথ দেখভাল করতে না পারায় ব্রিটিশ মিউজিয়ামে থাকা নিজেদের পুরাকীর্তি ফেরত চাইছেন চীনারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার পুরাকীর্তি চুরি গেছে। এ ঘটনার জেরে চাপের মুখে রয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। চুরিকাণ্ড সামনে আসতেই জাদুঘরের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এমনকি গত সপ্তাহে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের পরিচালক হার্টউইগ ফিশারও পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

এসব বিষয় নিয়ে গতকাল রোববার রাতে চীনের সরকারি গণমাধ্যম একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে বিনামূল্যে চীনা সব সাংস্কৃতিক নিদর্শন ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায়। সম্পাদকীয় প্রকাশের পরপর এ বিষয়ে বেশ সোচ্চার হন চীনা নেটিজেনরা। এমনকি তাদের এই দাবি চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়েইবোতে সবচেয়ে ট্রেন্ডিং ইস্যুতে পরিণত হয়।

পশ্চিমাদের মধ্যে ব্রিটিশ মিউজিয়ামেই সর্বোচ্চ চীনা পুরাকীর্তি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সেখানে নিওলিথিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার চীনাসামগ্রী রয়েছে।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও চীনা নেটিজেনরা তাদের পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রতি আহ্বান জানান। তবে এবার চীনের সরকারি গণমাধ্যমে সম্পাদকীয় প্রকাশ করায় এ দাবি আরও জোরদার হয়েছে।

এক চীনা নেটিজেন লেখেন, ‘পুরাকীর্তিগুলো তাদের প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিন।’ তার এ লেখায় ৩২ হাজার মানুষ লাইক দিয়েছেন।

আরেকজন লেখেন, ‘এখন আমাদের দেশ ধনী এবং জনগণ শক্তিশালী। তাই এসব মূল্যবান সম্পদ আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার এখনই সময়।’

তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীন সরকার। এ ছাড়া ব্রিটিশ মিউজিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এখনো তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

চুরিকাণ্ডের পরপর আরও বেশ কয়েকটি দেশ তাদের পুরাকীর্তি ফিরিয়ে দিতে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম গ্রিস ও নাইজেরিয়া।

এম.কে
২৯ আগস্ট ২০২৩

আরো পড়ুন

খরা রুখতে যুক্তরাজ্যের নতুন জলাধার প্রয়োজন

শাহজালাল বিমানবন্দরে চালু ই-গেট, ১৮ সেকেন্ডেই হবে ইমিগ্রেশন

অভিবাসন নিয়ে কনজারভেটিভ সরকারের উপর দলীয় সাংসদদের চাপ