একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের ‘দুর্বল’ অবস্থানের কারণে দেশে উগ্রবাদ বাড়ছে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নজরদারির সুপারিশগুলোতে সরকার সাড়া দিতে ব্যর্থ হওয়ার পরে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় পুলিশ। এক বছরের বেশি সময় পরেও সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বা এই ব্যাপারে কোন নির্দেশ দেয়নি।
নিয়ন্ত্রণে না রাখলে উগ্রবাদ হিংসাকে উস্কে দিতে পারে, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং গণতন্ত্রকে হুমকি দিতে পারে। তাই সরকারকে এই বিষয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রায় এক চতুর্থাংশ ব্রিটিশ প্রাপ্তবয়স্ক বলেছেন, তারা গত বছর ব্যক্তিগতভাবে চরমপন্থীর সাক্ষী বা অভিজ্ঞতা পেয়েছেন এবং ৫৮ শতাংশ নাগরিকরা মনে করেন আগের থেকে এই বছর এটি বেড়েছে। বিশেষ করে অপরাধ এবং অনলাইন অপব্যবহার আগের থেকে অনেক বাড়ছে।
উগ্রপন্থী বিরোধী কমিশনের প্রধান সারা খান, কার্যকর এবং সুসংগত পদ্ধতির অভাবের নিন্দা করেন। তাদের উগ্রবাদ ও তাদের বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেই। তিনি আরো বলেন, এটি আরো ভয়াবহ কারণ চরমপন্থীরা করোনা মহামারিকে কাজে লাগিয়ে আগাচ্ছে।
সরকার বলেছে, তারা চরমপন্থার বিষয়ে বিবেচনা করছে এবং যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। স্বরাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র বলন, সরকার আমাদের সমাজে সহিংসতা, বিদ্বেষ ও বিভেদ প্রচারকারী চরমপন্থীদের মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র: ইন্ডিপেন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ/এনএইচ