18.1 C
London
June 22, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

ব্রিটেনের এসাইলাম সেন্টারে উপচে পড়া ভীড়ঃ মিথ্যা পরিচয়ে ব্রিটেনে ঢুকছে হাজারো মানুষ

যুক্তরাজ্যের কেন্টের মানস্টনে অবস্থিত বৃহত্তম আশ্রয়প্রার্থী কেন্দ্রটি হুমকির মুখে পড়েছে। সাবেক একটি আরএএফ ঘাঁটি এখন প্রতিদিন শত শত অভিবাসী প্রসেস করতে গিয়ে বিপর্যস্ত। কর্মীরা জানাচ্ছেন, চরম জনসমাগমের দিনে নিরাপত্তা যাচাই না করেই অভিবাসীরা মুক্তভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।

অভ্যন্তরীণ কর্মীদের মতে, অনেক অভিবাসী ব্রিটেনে পৌঁছেই হোটেল সুবিধা পাওয়ার প্রশ্ন তুলে বসে। তাদের ধারণা, ব্রিটেনে এলে সাথে সাথে হোটেলে থাকা যাবে। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে।

কেন্দ্রটি এক দিনে ১,০০০ জনকে প্রাথমিকভাবে প্রসেস করার জন্য তৈরি হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। নিত্যনৈমিত্তিক হাজারের বেশি অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করছে। একদিনে এক হাজারের বেশি অভিবাসী এলে, কর্মীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে জানা যায়।

কর্মীরা জানিয়েছেন, অনেক অভিবাসী একই গল্প বলে – আফগানরা বলে তারা তালেবানের হাত থেকে পালিয়েছে, আফ্রিকানরা বলে তারা সমকামী এবং দেশে ফিরলে মৃত্যুর শঙ্কা। এমনকি জন্মতারিখ পর্যন্ত অনেকেরই ১ জানুয়ারি বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ এসব গল্পের সত্যতা যাচাই করার কোনও উপায় কর্মীদের হাতে নেই।

ব্রেক্সিটের পর ইউরোপের তথ্যভাণ্ডারে ব্রিটেনের প্রবেশাধিকার বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। ইউরোপে কারও অপরাধমূলক ইতিহাস থাকলেও তা জানা সম্ভব নয়। ফলে আগের কোনও রেকর্ড ছাড়াই একেবারে নতুন পরিচয়ে এদেশে প্রবেশ করে অবৈধ অভিবাসীরা।

এক কর্মীর প্রশ্ন, “যদি এসব লোককে আমরা বিপজ্জনক হিসেবে দেখি, তাহলে তারা সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য কীভাবে নিরাপদ হয়?” তিনি আরও বলেন, “ব্রিটেনকে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না।”

সরকার জানিয়েছে, হোম অফিসকে অতিরিক্ত তহবিল দেওয়া হবে যাতে আশ্রয়প্রার্থী মামলার জট কমানো যায় এবং যাদের থাকার বৈধতা নেই, তাদের দ্রুত ফিরিয়ে পাঠানো যায়। পাশাপাশি, সংসদীয় মেয়াদের শেষ নাগাদ হোটেলভিত্তিক থাকার সুবিধাও বন্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সূত্রঃ এক্সপ্রেস

এম.কে
২২ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

টেসকোর রিটেইল ব্যাংকিং শাখা কিনল বার্কলেস

১৩ মাস বয়সী শিশুকে যুক্তরাজ্য হতে অপসারণের নির্দেশ দিলো হোম অফিস

রাজকীয় দায়িত্বে ফিরলেন রানি

নিউজ ডেস্ক