যুক্তরাজ্যেত স্লাও শহরকে বসবাসের জন্য সবচেয়ে বিষণ্ণ শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বিষণ্ণ শহর স্লাও, যা ‘হতাশার দ্বীপ’ নামে পরিচিত। শীঘ্রই লন্ডনের অংশ হয়ে যেতে পারে স্লাও—যা স্থানীয় অনেক মানুষের কাছে আনন্দদায়ক খবর বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্লাও কাউন্সিলকে পশ্চিম লন্ডনের সাথে একীভূত হওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। যা সরকারের বড় প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরির পরিকল্পনার অংশ। ছোট ছোট অনেকগুলো কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে বৃহত্তর প্রশাসনিক এলাকা তৈরি করাই এই পরিকল্পনার লক্ষ্য।
এর ফলে স্লাও শহর তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা করছে, যার মধ্যে লন্ডনের অংশ হওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।
বিষয়টি এমন সময় সামনে এসেছে যখন বার্কশায়ারের এই শহরকে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বিষণ্ণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাইটমুভের একটি সমীক্ষায় এই শহর ২২০টি শহরের মধ্যে ২২০তম স্থানে রয়েছে।
এই সমীক্ষায় বাসিন্দাদের বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছিল, যেমন—শহরের প্রতি গর্ব, আত্মপরিচয়ের অনুভূতি এবং আয়ের পর্যাপ্ততা।
কিন্তু স্লাওয়ের বাসিন্দারা তাদের শহর নিয়ে বিশেষ সন্তুষ্ট নন, অনেকে একে ‘বার্কশায়ারের বগল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আপনার মানসিক শান্তি বজায় রাখতে চাইলে শহরের প্রাণকেন্দ্র অর্থাৎ টাউন সেন্টারকে এড়িয়ে চলুন। এটি একেবারে অকাজের এক জায়গা। দোকানের ক্রেতারা সবসময় থাকে চরম বিষণ্ণ। রাস্তায় যানজট ভয়াবহ এবং চালকদের অবস্থাও ভালো নয়।’
বর্তমানে স্লাওয়ের রাজনীতিবিদরা পশ্চিম লন্ডনের কোনো কাউন্সিলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তারা হিলিংডন, অথবা সরাসরি গ্রেটার লন্ডন অথরিটির অংশ হওয়ার সম্ভাবনাও আলোচনা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এই একীভূতকরণ নিয়ে আলোচনা করা হবে সোমবার স্লাও কাউন্সিলের ক্যাবিনেট সভায় বলে জানিয়েছে দ্য মেট্রো।
সূত্রঃ ব্লুমবার্গ/ মেট্রো
এম.কে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫