ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার দেশের আশ্রয় ও অভিবাসন ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কারের অংশ হিসেবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র চালুর পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছেন। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই মাসেই লেবার পার্টির সম্মেলনে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা এখনও চূড়ান্ত হয়নি এবং সময়সীমাও পরিবর্তন হতে পারে। এ বিষয়ে অবহিত দুইজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, সরকার নীতিমালা প্রণয়নে চূড়ান্ত পর্যায়ে কাজ করছে।
বর্তমানে অভিবাসন ও আশ্রয় ব্রিটেনের রাজনৈতিক বিতর্কের অন্যতম মূল বিষয়। ছোট নৌকায় রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী আগমনের পাশাপাশি আশ্রয়প্রার্থীদের আবাসনের সংকট সরকারকে তীব্র চাপে ফেলেছে। হাজার হাজার মানুষকে অস্থায়ীভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সরকারি ব্যয়ও বেড়েই চলেছে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্যমতে, বিবেচনাধীন একটি বিকল্প পরিকল্পনা হলো—ব্রিটেনে বৈধভাবে বসবাসের অধিকারপ্রাপ্ত সকল ব্যক্তি, নাগরিক থেকে শুরু করে অভিবাসন স্ট্যাটাসধারীরা, ডিজিটাল আইডি পাবেন। এই পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যাবে চাকরির যোগ্যতা যাচাই, বাড়ি ভাড়া বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে। তবে পরিকল্পনার পরিধি সীমিত রাখা বা পুনর্বিবেচনা করার বিষয়টি সরকার এখনও খোলা রেখেছে।
সরকারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি সেবা গ্রহণ সহজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্রিটেন। তিনি বিদ্যমান ই-ভিসা ও এনএইচএস অ্যাপের উদাহরণ টেনে বলেন, “আমরা যেকোনো গুরুতর প্রস্তাব বিবেচনা করব যা মানুষের জন্য সরকারি সেবা পাওয়া সহজ করবে, এর মধ্যে ডিজিটাল আইডিও রয়েছে।”
সূত্রঃ রয়টার্স / ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস
এম.কে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫