ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ঘটছে বিদ্বেষমূলক অপরাধ। ২০২৩ সালের মার্চে শেষ হওয়া বছরে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বেশির ভাগ বিদ্বেষমূলক অপরাধ মুসলিমদের ওপর পরিচালিত হয়েছিল বলে হোম অফিসের সর্বশেষ তথ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হোম অফিসের প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৪৫২টি হামলা হয়েছে, যা এই সময়ের মধ্যে রিপোর্ট করা ঘৃণ্য অপরাধের ৩৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের মার্চে এ-সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা ঘটে। সামগ্রিকভাবে, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের সংখ্যা ৯ শতাংশ বেড়েছে। মোট সংখ্যা ৮ হাজার ৬০২ থেকে বেড়ে ৯ হাজার ৩৮৭-তে পৌঁছেছে।
গত বছর ধর্মীয় বিদ্বেষের দ্বিতীয় সর্বাধিক লক্ষ্যবস্তু গোষ্ঠী ছিল ইহুদিরা, যারা ১ হাজার ৫১০টি বিদ্বেষমূলক অপরাধের সম্মুখীন হয়েছিল। যেখানে খ্রিস্টানরা ৬৪৯টি ঘটনার শিকার হয়েছিল। একই সময়কালে শিখদের বিরুদ্ধে ৩০৮টি হামলা, হিন্দুদের লক্ষ্য করে ২৯১টি এবং বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে ১৯টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশ এই সময়ের মধ্যে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ২১৪টি বিদ্বেষমূলক অপরাধ রেকর্ড করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম হয়েছে।
অন্যদিকে, ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি বিদ্বেষমূলক অপরাধ ১১ শতাংশ বেড়েছে, সংখ্যায় ৪ হাজার ৭৩২টি অপরাধ, যা ২০১২ সালের মার্চ থেকে তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ।
এ ব্যাপারে লন্ডনের স্থানীয় একজন মুসলিম বাসিন্দা বলেন, ব্রিটেনে মুসলমান ও হিজাব পরিহিত নারীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে, যা অত্যন্দ উদ্বেগের। ব্রিটেনের সমাজে ঘৃণার কোনও স্থান নেই, এটি আধুনিক ব্রিটেনের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্মনির্বিশেষে এই ঘৃণ্য অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে আমরা সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এম.কে
০৭ অক্টোবর ২০২৩