যুক্তরাজ্যের কেও যদি বেনিফিট বা ইউনিভার্সাল ক্রেডিট গ্রহণ করেন তাহলে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রাম যে কোনো সময় তদন্ত করা হতে পারে।
করোনা মহামারির কারণে যুক্তরাজ্যের ২ কোটিরও বেশি লোক বর্তমানে বেনিফিট দাবি করছে এবং সময়ের সাথে সাথে এই সংখ্যা বাড়ছে।
সাধারণত, বেনিফিট-সম্পর্কিত জালিয়াতি ঘটে যখন কেউ এমন বেনিফিট দাবি করেন যার জন্য তারা যোগ্য না। রাষ্ট্রকে নিজের পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে তা জালিয়াতি হিসাবে চিহ্নিত হবে।
যুক্তরাজ্যের কাজ ও পেনশন বিভাগের (ডিডাব্লুপি) জালিয়াতি তদন্তকারীদের এমন ক্ষমতা রয়েছে যার সাহায্যে তারা যে কোনো সময় যে কারো উপরে নজরদারি করতে পারেন, সাক্ষাত্কার নিতে পারেন, ডকুমেন্ট ট্রেসিং সহ বিভিন্ন উপায়ে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেন। অর্থাৎ ডিডাব্লুপি থেকে কেউ সুবিধা গ্রহন করলে তাদের উপর যে কোনো সময় তদন্ত করা হতে পারে।
দুর্ভাগ্যক্রমে, আপনার বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে আপনি জানতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপনাকে এ সম্পর্কে জানানো হচ্ছে।
সম্ভাব্য জালিয়াতির যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া মাত্রই ডিডাব্লুপি একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করবে। যদি তারা আপনার বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে চায়, তারা আপনাকে লিখিতভাবে, টেলিফোনে বা ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। সাধারণত পোস্টের মাধ্যমে এটি জানানো হয়।
আপনি যদি বেকারত্বের সুবিধা দাবি করেন তাহলে কোনো কর্মক্ষেত্রে আপনাকে দেখা গেলে, আপনি সেখানে কেন আছেন, আপনি কি কাজ করছেন এবং আপনাকে বেতন দেওয়া হচ্ছে কি না খোঁজ করবেন তারা। ডিডাব্লুপি সেই ব্যবসার মালিক বা পরিচালকের সাথে কথা বলতে পারে।
তদন্তকারীরা আপনার সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো অনুসন্ধানের জন্য পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
সূত্র: ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ
৭ এপ্রিল ২০২১
এসএফ