ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয় ঋণ ব্যবস্থার মাধ্যমে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। সানডে টাইমসের এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রকৃতপক্ষে পড়াশোনার কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই শুধুমাত্র ঋণ নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন এবং তারা ঋণ পরিশোধেরও কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করছেন না।
বিশেষ করে কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজড বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই জালিয়াতি প্রকট হয়ে উঠেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, রোমানিয়ান নাগরিকদের সংগঠিতভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে এই জালিয়াতিতে অংশ নিতে। স্টুডেন্ট লোন কোম্পানি (এসএলসি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৩,৫৬৩টি সন্দেহজনক ঋণ আবেদন শনাক্ত করেছে, যার পরিমাণ প্রায় ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে প্রকৃত জালিয়াতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজড কলেজে ইংরেজি ভাষায় দুর্বল শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করানো হচ্ছে, এমনকি ডুওলিঙ্গো পরীক্ষার স্ক্রিনশটকেও ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু শিক্ষার্থী প্রথম দফায় ঋণের টাকা পেয়ে কোর্স থেকে ঝরে পড়ছেন এবং পরে পুনরায় ভর্তি হয়ে আবারও অর্থ দাবি করছেন।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রিজেট ফিলিপসন এই ঘটনাকে ব্রিটেনের উচ্চশিক্ষা খাতে অন্যতম বড় অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি বলে অভিহিত করেছেন এবং সরকার বিষয়টি তদন্তের জন্য পাবলিক সেক্টর জালিয়াতি কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এমন জালিয়াতি চলতে থাকলে ব্রিটেনের ছাত্র ঋণ ব্যবস্থা ভয়াবহ সংকটে পড়বে, যার দায় শেষ পর্যন্ত পড়বে করদাতাদের ওপর।
সূত্রঃ সানডে টাইমস
এম.কে
২৪ মার্চ ২০২৫