TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

ব্রিটেনে স্টুডেন্ট ভিসায় চাকরি করতে চাইলে যা জানা জরুরি

আপনার যদি ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি একইসঙ্গে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে, তবে জেনে খুশি হবেন এটা সম্ভব। পাশাপাশি ব্রিটিশ সরকার এই লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করে। ফলস্বরূপ, সেদেশের নিয়োগকর্তারা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম চাকরি অথবা কোর্স সম্পর্কিত চাকরির অফার দেন। তবে, ইউকেতে টিয়ার-ফোর স্টুডেন্ট ভিসায় চাকরি করার সময় কিছু নিয়ম অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিৎ শিক্ষার্থীদের।

 

কেবল ফুল-টাইম ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারবেন। কলেজে আবেদনের উদ্দেশ্যে স্বল্প মেয়াদী ভিসায় অবস্থান করলে কাজ করা যাবে না।

 

সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে

ইউকে-তে ১৬ বছরের বেশি বয়সী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা অবধি কাজ করতে পারেন। ছুটির দিনে আরও দীর্ঘ সময় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া, আপনি যদি কোনও স্বীকৃত ফাউন্ডেশন প্রোগ্রামে ভর্তি হন তবে শিক্ষানবিশ হিসেবে স্নাতকোত্তর ডাক্তার বা ডেন্টিস্ট হিসাবেও কাজ করতে পারবেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে পারছেন।

 

যেকোনো পদের জন্য যুক্তরাজ্যের ন্যূনতম মজুরি স্কেল অনুসারে বেতন দেওয়া হয়।

 

ইউকে কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের তথ্য মতে, সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন এবং কি কি শর্ত ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা আপনার টায়ার-ফোর স্টিকারে (সংক্ষিপ্ত বিবরণী) লেখা থাকবে। আপনাকে রেসিডেন্স পারমিটের কাগজপত্র হস্তান্তরের সময় একটি চিঠি দেওয়া হবে, এটি আপনি পড়ালেখা করার পাশাপাশি কাজ করতে পারবেন কি না সে বিষয়ে সমস্ত তথ্য সরবরাহ করবে।

 

সেলফ এমপ্লয়মেন্টে যেতে পারবেন না

পড়ালেখা চলাকালে ফ্রিল্যান্স কাজগুলো আকর্ষণীয় মনে হতে পারে। কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে, টিয়ার-ফোর ভিসা সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অনুমোদন করে না। আপনি কেবল রাষ্ট্র অনুমোদিত পদগুলোতে চাকরি করতে পারবেন। আপনার ইমিগ্রেশন ডকুমেন্টে এই পদগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত পাবেন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এছাড়াও পেশাদার খেলাধুলা (খেলোয়ার অথবা কোচ) এবং প্রাইভেট এন্টারটেইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।

 

পেশাদারদের পরামর্শ নিন

আপনি অনলাইনে কেবল এই সংক্রান্ত তথ্যগুলো পাবেন। কিন্তু আপনার জন্য কোনটা ভালো এবং কোনটা খারাপ, তা একজন অভিজ্ঞ পেশাদারের পক্ষে জানা সম্ভব। সুতরাং, ব্রিটেনে পড়ালেখা ও কাজ করাতে হলে সর্বদা পেশাদারদের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এধরনের অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশনকর্মীর খোঁজ পেতে পারেন। বিশেষ কোনো সমস্যায় পরে গেলে তাদের কাছেই নির্ভরযোগ্য সমাধানের পথ পাবেন। সুতরাং, কোনো বিশয়ে নিশ্চিত না হলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে কথা বলুন।

 

কোনভাবেই আপনার স্টুডেন্ট ভিসাকে ঝুঁকিত মুখে ফেলবেন না। ইউকের হোম অফিস এই সংক্রান্ত বিধান লঙ্ঘন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। টিয়ার-ফোর ভিসা অনুমোদন করে না এমন কাজের জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়- এমনকি ইউকে থেকে বের করে দিতে পারে। এমনক্ষেত্রে আপনার যুক্তরাজ্য প্রবেশও নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে। আপনার নিয়োগকর্তাকেও জরিমানা করা হবে।

 

সুতরাং, যে কোনো কিছু করার আগে আপনার অধিকারগুলো সম্পর্কে জানুন। পাশাপশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পেশাদার ইমিগ্রেশন কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।

 

কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের কেবল ক্যাম্পাসের ভেতর চাকরির অনুমতি দেয়। অনেকসময় শিক্ষকের সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। কোর্সের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন  চাকরি ব্রিটেনে কেরিয়ার শুরুর ক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসে।

 

২৬ জুন ২০২১
এনএইচ

 

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা নীতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন ম্যাক্রন

সুদের হার কম, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের টাকা তুলে নিচ্ছে গ্রাহকরা

ইতালিতে রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ, ৮০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয়