আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যকে বলা হয় স্বর্গরাজ্য। যুক্তরাজ্যের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েটদের উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়া হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজের অভাব নেই। তাই ভালো মানের আয় করতে পারবেন। হাজার হাজার বিষয় ও কোর্স থেকে বাছাই করে পড়তে পারবেন।
যুক্তরাজ্যে পড়ার জন্য শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। যুক্তরাজ্যে মূলত তিন ধরনের স্টুডেন্ট ভিসা প্রচলিত। এই তিন ধরনের ভিসা থেকে আপনার প্রয়োজনমতো ভিসা বাছাই করে সেটার জন্য আবেদন করতে হবে।
অবশ্যই শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বৈধ স্পন্সরের মাধ্যমে গৃহীত হতে হবে।
যেসব কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন জানতে পারবেন এই লিংকে
টায়ার ফোর (জেনারেল স্টুডেন্ট ভিসা)
১৬ বছর বা তা ঊর্ধ্বে যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে হবে ক্লাস শুরু হওয়ার ছয় মাস পূর্বে।
টায়ার ফোর (চাইল্ড স্টুডেন্ট ভিস)
৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবে। আবেদন করার পর তিন মাসের কম মেয়াদি কোনো কোর্স হলে সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে ও তিন মাসের বেশি মেয়াদি কোন কোর্স হলে সেক্ষেত্রে এক মাস পূর্বে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে হবে।
শর্ট টার্ম স্টাডি ভিসা
যে কোনো বয়সের একজন শিক্ষার্থী এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদন করবে। এই ধরনের কোর্সের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১ বছর মেয়াদি হতে পারে। ভ্রমণের দিনের ওপর নির্ভর করে পৌঁছালেই চলবে।
যেভাবে আবেদন করবেন
যুক্তরাজ্যের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনেই বেশিরভাগ কাজ করা সম্ভব।
আবেদন করার সময় বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ও এর সাপোর্টিং ডকুমেন্টগুলোর স্ক্যান কপি যুক্ত করে দেবেন। যদি আপনার সাথে আপনার পরিবারের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে তাদের তথ্যও যোগ করতে হবে। অন্যান্য দক্ষতার প্রমাণপত্র যোগ করতে হতে পারে।
আবেদনের পর আপনাকে ‘বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন’ দিতে হবে। ভিসা আবেদন ফি বর্তমানে ৩৪৮ পাউন্ড। বায়োমেট্রিক ইনফরমেশনের জন্য ৩০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আপনাকে একটি ট্র্যাকিং কোড দেওয়া হবে যার মাধ্যমে আবেদনের প্রক্রিয়াটির আপডেট আপডেট পাবেন।
২৬ আগস্ট ২০২১
এনএইচ