দুটি মাছ বিক্রি করেই ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হলেন বাংলাদেশের এক মৎস্যজীবী। তার জালে ধরা পড়ে দুটি বিরল দাঁতিনা ভোল মাছ। তা বিক্রি করেই ভাগ্যের চাকা ঘুরল ঐ মৎস্যজীবীর। বাংলাদেশের মোংলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বাজারে ঐ দুটি মাছ বিক্রি হয় সাড়ে ১৮ লাখ টাকায়। মাছ দুটি বাগেরহাটের দুবলার চর থেকে কিনে আনেন আল আমিন।
মাছের খবর পেয়েই সেখানে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। তারা সবাই এক ঝলক দেখতে চান বহুমূল্য মাছদুটি। মোংলার একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দাঁতিনা ভোল মাছের বিশেষ ধরনের ফুলকা রয়েছে। যার প্রতি কেজির মূল্য কয়েক লাখ টাকা। দাঁতিনার মতই কইয়া ভোল, লাল ভোল ও জাবা মাছের ফুলকারও অনেক দাম বলেও জানিয়েছেন তারা।
জানা গিয়েছে, মাছ দুটির ওজন ৬৩ কেজি ৫০০ গ্রাম। আল আমিন জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে সাগরের মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকার ফারুক হোসেন। তখন তার জালে ধরা পড়ে দুটি বড় আকারের বিরল প্রজাতির ‘দাতিনা ভোল মাছ’ । ফারুক ওই মাছ নিয়ে আসেন দুবলার চরের মাছের আড়তে। নিলামে ওই মাছ কিনেন নেন আল আমিন। তিনি ওই মাছ পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামে। সেখানে আরও বেশি দামে এ মাছ বিক্রি হবে বলেও আশা তার।
আল আমিন জানান, বড় মাছটির ওজন ৩৬ কেজি ৫০০ গ্রাম। সেটির দাম হাঁকা হয় ১১ লাখ। ছোট আকারের মাছটির ওজন হয় ২৭ কেজি। যার দাম ওঠে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সামুদ্রিক এই মাছ সচরাচর পাওয়া যায়না। ফারুক খুব ভাগ্যবান বলেই তার জালে মূল্যবান এই মাছ ধরা পরেছে। প্রতি কেজি মাছের দাম ১৯ হাজার ১৩৩ টাকা পেয়েছেন ফারুক।
মোংলা মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মহম্মদ আফজাল ফরাজী বলেন, “দাঁতিনা ভোল মাছ এই অঞ্চলে খুব কম পাওয়া যায়। মোংলা পশুর নদী বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে আগে দু-একটি মাছ পাওয়া গেলেও এখন কিছু দুষ্কৃতী সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলছে। ফলে এখন আর এই মূল্যবান মাছ পাওয়া যায় না।
মূলত এই মাছের ফুলকা বা প্যাঁটা ও ‘বালিশের’ কারণে দাম বেশি হয়। এই মাছের ফুলকা ও বালিশ বিদেশে রফতানি করা হয়। তা দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের ওষুধ।
এম.কে
০৫ মার্চ ২০২৩