বিশ্ববিখ্যাত বাউল শিল্পী পার্বতী বাউলকে সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আমন্ত্রণপত্র, বৈধ ভিসা ও পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেয়। এমনকি, তার বিরুদ্ধে আগামী পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
পার্বতীর অভিযোগ, তার কাগজপত্রে কোনও ত্রুটি ছিল না। শুধুমাত্র “জীবিকার জন্য দেশে থেকে যেতে পারেন”— এই সন্দেহে তাকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে তিনি একটি ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
শিল্পী জানান, গত ২৫ বছর ধরে বিশ্বের নানা দেশে অনুষ্ঠান করেছেন তিনি। আগে কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি। এবারের ঘটনাকে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অপ্রমাণিত অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।
ঘটনার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে আমেরিকার অভিবাসন নীতির কড়াকড়ি। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্সির শুরু থেকেই অভিবাসী বিরোধী কড়া অবস্থান দৃশ্যমান। হোয়াইট হাউসের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার প্রথম মাসেই ৩৭,৬৬০ জন ‘অবৈধবাসী’কে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পার্বতী বাউলের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পীর এমন অভিজ্ঞতা ভারত-মার্কিন সম্পর্কের জটিলতা ও অভ্যন্তরীণ নীতির কঠোরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিষয়টি দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও মর্যাদার প্রশ্নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সূত্রঃ আনন্দবাজার
এম.কে
২৩ মে ২০২৫